ভাবছো, হলো কী? ঘটছে যা সবই অপ্রত্যাশিত
শরতের আকাশে কেন যে কালো মেঘের কুণ্ডলী
গলাগলি করে দাঁড়িয়ে অট্টহাসি দিয়ে করছে বিব্রত
চারদিক অন্ধকার, ভরদুপুরে হলো যেন গোধূলি!

আগে আঙুলে তুড়ি দিলেই মেঘেরা সরে যেতো
এখন যা করছে এ কাণ্ড করার কি সাহস হতো?
এ সময় মেঘের গর্জন শুনে কি মনে হয়
মেঘদূত মেঘের আড়ালে আছে রণ সাজে সজ্জিত?

মেঘের এ গুরুগম্ভীর ডাক একেবারে অপ্রত্যাশিত?
তোমার বুকে এসে বিঁধছে কি বর্শার ফলার মতো?
পা কাঁপছে ঠক ঠক করে, ভয়ে বুক দুরু দুরু?
আহত বাঘের মতো কষ্ট হচ্ছে নিজে হতে সংযত?

ভাবছো, ঝড়ো বাতাস এসে যদি তার দাপট দেখাতো
এই মেঘকুণ্ডলীদের যদি দু'হাতে ঠেলে সরিয়ে দিতো
মনে ঘনীভূত হতো না দুর্যোগের আশঙ্কা
এখন হতে হতো না ভয়ে জড়োসড়ো এতো শঙ্কিত।

ভাবলে এবার ঝাঁপাতেই হবে বাঁচার মরিয়া চেষ্টায়
মেঘেদের লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ছুড়লে নির্দ্বিধায়
ওই দেখো, যেভাবে থমকে দাঁড়িয়েছে মেঘের কুণ্ডলী
ভয়ানক দুর্যোগ না ডেকে এনে থামবে না বোধ হয়।