সেদিনের ঘটনায় জনগণ রাগে ফুঁসছে কিনা,
শেষ চেষ্টা করেও ধামাচাপা দেওয়া গেল না।
বলেছিলে হেঁকে, ‘তাকাতে হবে না সেদিকে’
এতো কি দেখার আছে? সেটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
এ ঘটনা নতুন না, আগেও ঘটেছে ভুরি ভুরি
ত্র্যহস্পর্শ সেসময়ে সুবিচার পাওয়া গেল না।
আগে ধামাচাপা দেওয়া গেলেও গা-জোয়ারি
এবার বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে ভোলানো গেল না!
এবার ভোকাল টনিকে কেউ সাড়া দিলো না
জনগণ মানেনি সেগুলো সবই বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
পাঁকে পড়ে আশ্রয় নিতে চেয়েছ কি ছলনার?
জনগণকে কাতুকুতু না দিলেও কি হতো না?
তখন মনে কি জেগেছে কোনো কুটিল ভাবনা?
কেন যে বলেছিলে, 'আগমন হবে দেবী দুর্গার
চলো যাই বরণ ডালাটি সাজানো যে হলো না,
বিলম্ব না করে সেটি সাজিয়ে নেওয়া দরকার'।
দেখেছি জনগণ শ্রদ্ধায় বরণ করেছে দেবীকে,
মহিষাসুর মর্দিনীও ব্যস্ত হলেন অসুর নিধনে
বললো জনগণ বরণডালার আর কি দরকার?
জনগণের মনে এই বিশ্বাস জন্মেছে সেইক্ষণে।
যখন সাধ্য সাধনায়ও জনগণ প্রসন্ন হলো না
ঘোর দূর্বিপাক থেকেও যখন মুক্তি পেলে না
ভাবলে কি তখন ইষ্টদেবতাই একমাত্র ভরসা
সে-ই এই ঘোর দুঃসময়ে দিতে পারে দিশা।
কে জানে, সে কারণেই বন্যা দেখা দিলো কি?
সে যাই হোক, জনগণ হাবুডুবু খেয়েছে জলে।
দেখছ, তারা সাঁতরে তীরে এসেই করছে কী?
বাঁধছে কোমর, কে জানে কী হবে এদিকে এলে!