ঘুড়ি, চেয়েছ বাতাসে ভেসে উড়ে যেতে
ওই দূরের সীমাহীন প্রান্তরে,
ভেবেছ কখনো বাঁধন ছাড়া হয়ে উড়লে
উল্কার মতো দশা হতে পারে?
ভেবেছ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কেমন দশা হতো
যদি মহাকর্ষ না-রাখতো ধরে?
কেন মহাবিশ্বের গ্রহ তারা যেতে চায় না
মহাকর্ষের অটুট বাঁধন ছিঁড়ে?
সে ছিঁড়ে যায় যাক যখন মেলেছ ডানা
একবারও উড়তে করিনি মানা,
স্বাধীনভাবে উড়লে সুতো ছিঁড়তে পারে
সেকথাও নয়তো কারো অজানা।
বাঁধন ছিঁড়ে ছিঁড়ুক যখন ইচ্ছা জেগেছে
মুখ ফিরিয়ে থেকো না লাজে,
আঁধার রাতে উল্কাবৃষ্টি এতো যে হচ্ছে
উল্কা পিছিয়ে থাকে এ কাজে?
যাও আকাশে যতোটা দূরে যেতে পারো
উড়তে যখন চেয়েছ মনে প্রাণে
মনে প্রশ্ন জাগে সুদূরের নীল আকাশকে
ছোঁয়া সম্ভব হবে কি? কে জানে!
যখন বন বন করে উড়তে শখ হয়েছে
চেষ্টা করে দেখতে ক্ষতি কি?
ইচ্ছাপূরণে সুতোর টানের মতোই বাধা
হয়ে কেউ টেনে ধরবো নাকি?
যাও উড়ো, স্বেচ্ছায় এই লাটাই থেকে
ক্রমাগত সুতো ছেড়ে রেখেছি।
কান পেতে তোমার ডানার সো সো শব্দ
শুনতে অধীর আগ্রহে রয়েছি।
উড়তে যখন দিয়েছি উল্কাবেগে উড়ে
স্বপ্নপূরণে আকাশ ছুঁতে পারো।
ঘুড়ি, নাইবা দেখলে পিছন দিকে ফিরে
মনের ইচ্ছাটাকেই তুলে ধরো।
স্বপ্নপূরণ করে আবারো ফিরতে পারো
ঘরে ফিরে আসার ইচ্ছা হলে
ফিরবে কিনা জানিনা এখন সে ভাবনা
রেখেছি মন থেকে দূরে ঠেলে।