শিলা ভাবো কী? কাদামাটি তোমার ঘুম কেড়ে নেয়?
তার মতো হতে ভয় যদি কেউ পা দিয়ে চটকে দেয়?
সেই সম্ভাবনা আছে বৈকি, উড়িয়ে দেওয়া যায় না
বালখিল্য দেখাতে পারে না-জন্মালে সুস্থ চেতনা
তবে পাঁক কখনো তার এই কাজ কে প্রশ্রয় দেয়?

কারোর সুশিক্ষার অভাব হলে কত কি ঘটতে পারে!
যে এই কাজে নামে সে নিজে পিছলে পড়তে পারে
আর পাঁকাল মাছ? সে কি খুব বেশি জোটে
যার গায়ে পাঁক লাগতে চায় না কোনমতে?
বাদবাকিদের নেই ছাড়, কাঁদা লাগে সারাশরীরে।

হায়রে, এই বিশ্বে নিয়ত ঘটছে কত রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম
হিংসাশ্রয়ীরা ভাবে কী? রক্তের নেই কি কোনো দাম?
ভাবে কি শিলারও গলার আছে প্রয়োজন?
ওদের দানবীয় সমস্ত কর্মকাণ্ড থামবে কখন?
ভাবে, রক্ত গঙ্গা বয়ে দিয়ে বিশ্বে গড়বে স্বর্গ ধাম?

শিলার মতো স্বভাব বলে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে উদ্যত
স্বভাবে একটু কাদামাটি হলে ক্ষতি এড়ানো যেতো
একটু সহিষ্ণু হলে হতো কি এতো রক্তক্ষয়?
তাদের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয় কত নির্দয়!
ঔদ্ধত্য দেখাতে গিয়েই বিশ্বে সৃষ্টি করে অজস্র ক্ষত।

আলোচনায় রক্তক্ষয় না করে সমস্যা মেটানো যায়
একটু সহিষ্ণু হলে রক্তক্ষয়ের পথে কেউ পা বাড়ায়?
মানবিকতা ও সহিষ্ণুতার আছে কি বিকল্প?
সেই পথে সমস্যা মেটানোর নিলে সংকল্প
এই পৃথিবীকে নিঃসংশয়ে স্বর্গসম গড়ে তোলা যায়।