ঘড়িতে বেলা বারোটা আসন্ন। চলৎ শক্তিহীন
বৃদ্ধের হয়নি বোধগম্য, 'কেন এ সময় চারিদিক
হচ্ছে অন্ধকার? পাখিরা গলা ফাটিয়ে ক্রমাগত
করছে চিৎকার? ওরা ওদের অধিকার অর্জনে
করছে কি লড়াই?
উদ্বিগ্ন বৃদ্ধ তক্তপোষে বসে কালিচরণকে ডেকে
বললেন, কেন রে জানালা দিয়ে বাইরে চারদিক
দেখছি আবছা অন্ধকার? চলছে কি মেঘেদের
আনাগোনা? কিছুই স্পষ্ট দেখি না।
এখন বুঝতেও পারি না, গ্রহণ লাগলো কিনা।
কে জানে, এখন হচ্ছে কি মতিভ্রম? হরদম ভুলে
যাচ্ছি কোথায় কি রেখেছি। মনে করতে কষ্ট হচ্ছে
কোথায় রেখেছি পাঁজি?
সেটি খোঁজাখুঁজি করবো কি? দৃষ্টিশক্তি হয়েছে
বেশ ক্ষীণ। জোরালো পাওয়ারের চশমা দিয়েও
স্পষ্ট দেখতে পাই না।
বললেন বৃদ্ধ, 'বুঝলি কালিচরণ, তাই বলে এখন
মনে খুবই কষ্ট অনুভব করি না, কেননা লোকমুখে
যতদূর শুনি, সমাজটা নাকি এ সময় কাটা ঘুড়ির
মতো বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে।
এ দৃশ্য নজরে এলে হয়তো কষ্টে বুক বিদীর্ণ হতো।
বল তো পাঁজিটা কোথায়? দেখ তো কালিচরণ,
এখন শুরু হয়েছে কি সূর্যগ্রহণ?