কাকাতুয়া পাখা মেলে বনবন করে ঘুরে বহু
দেশের অবস্থা নাকি করেছে পর্যবেক্ষণ।
সে এখন শাসকের প্রাসাদের চিলে কোঠায়
বসে চিৎকার করে বলছে ' শাসক, জানতে
ইচ্ছা হয় গণতন্ত্রে তোমার হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা
ও শাসনব্যবস্থা তুলে দিয়ে কি ভুল করেছে
জনগণ?
মনে পড়ে দেশে নির্বাচনের ঘণ্টা ঢং ঢং করে
বাজলো যখন সেসময় মাঠে ময়দানে গিয়ে
জনগণকে আশ্বস্ত করলে নাকি তোমার লক্ষ
হবে রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়ন।
এ কথাও স্মরণে রয়েছে কি জনগণের সাথে
তোমার অলিখিত চুক্তি হয়েছিল নাকি বজায়
রাখবে পারস্পরিক বিশ্বাস। সচেষ্ট ছিলে কি
ধরে রাখতে তার রাস?
মনে পড়ে তাদের আশ্বস্ত করেছিলে দেশের
জনগণের স্বার্থে সেই লক্ষ্যে থাকবে অবিচল।
সেসময় থেকে গঙ্গাবক্ষ দিয়ে গড়ালো কত
জল।
এখন বলবে ক'জন হতে পেরেছ জনগণের
আস্থাভাজন? ক'জন নিজেদের রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠা
করতে পেরেছ সুশাসন?
শাসক, নির্বাচনে জিতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসার
পরে করলে কী? সেই অলিখিত চুক্তি ভেঙ্গে
তছনছ করতে ঔদ্ধত্য দেখালে নাকি?
বলতে হবে ফলশ্রুতি? নির্বাচনের ময়দানে
জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি তাসের ঘরের
মতো ভেঙ্গে পরলো নাকি?
হায় রে, নির্বাচনের সময় জনগণ কি জানতো
তাদের বিশ্বাসে এভাবে হানবে আঘাত।
শুধু কি তাই তুমি খুঁজে নিয়েছ হাজার অন্যায়
করেও ধামাচাপা দেওয়ার রাস্তা, যদিও কেউ
দেয়নি তোমাকে জনস্বার্থ বিরোধী সেই কাজ
করার অবাধ স্বাধীনতা।
বলছে কাকাতুয়া, 'শাসক, বহু আগে থেকেই
জনগণের ক্ষতে বিশল্যকরণীর প্রলেপ দিতে
হতো।
কিন্তু সে আর হলো কৈ? তাদের দুর্ভাগ্য বৈকি।
শাসক, এখনো সংযত না হলে দেশের জনগণ
তোমার ঘাত সহ্য করবে আর কত?