বলেছি কাকাতুয়া, তন্নতন্ন করে খুঁজে
দেখছ কি?
বললো পাখি, জানতে গিয়ে জনগণের
বর্তমান অবস্থা চারিদিকে ঘুরে দেখেছি
অনেক দেশে সাধারণ জনগণ প্রতিদিন
শোষণের শিকারে হচ্ছে যেন তপ্ত তেলে
বেগুনের মতো ভাজা ভাজা।
পরিস্থিতি এখন এমন পর্যায়ে, জনগণ
হারিয়ে ফেলেছে যেন তাদের বাঁচার
অধিকার।
দাবা খেলায় ব্যস্ত এক রাজাকে তার
প্রতিদ্বন্দ্বীকে বলতে শুনেছি, 'রাজামশাই,
দেখছি এখন আপনার বেহাল দশা।
ভেবে দেখুন, এই পরিস্থিতিতে দেবেন
কোন ঘুটির চাল।
বেহাল রাজা, খেলায় দাবার চাল দিতেই
ব্যস্ত, সময় নেই জনগণের দুঃখ ও দুর্দশা
নিয়ে ভাববার। সে এখন এই বিষয়ে যেন
একেবারে নির্বিকার।
বললো পাখি, সেই সব দেশে জনগণের
দুর্ভোগ এখন এমনি যেন যমে ও মানুষে
চলছে টানাটানি। সমাজে ক্রমেই বাড়ছে
হানাহানি।
শোষকদের শোষণে দুর্ভোগ সইতে ব্যর্থ
সব জনগণের শোষকদের বিরুদ্ধে চড়ছে
ব্যারোমিটারের পারার মতোই সীমাহীন
অভিযোগ।
আকাশ ঢাকছে ঘন কালো মেঘে। হয়তো
দেখা দিতে পারে দুর্যোগ।
ঘোরালো এই পরিস্থিতি অবশেষে কোথায়
গিয়ে পৌঁছবে, কে জানে!
বললো কাকাতুয়া, দুর্ভোগ কমানোর প্রচেষ্টা
দূরে থাক, জনগণ যেসব প্রশ্ন নিয়ে করছে
আলোচনা, তাতে বোধ হয় বাড়ছে অহেতুক
জটিলতা। কেউ খুঁজতে চাইছে না কোথায়
রয়েছে এর সত্যতা।
কেউ কেউ দেখছে শোষকদের গায়ের চামড়া
সাদা, না কালো? বাদ যায়নি তাদের জাতি,
ভাষা, ধর্ম ও বর্ণ।
বিষয়টা হয়নি বোধগম্য, কেন যেন কতিপয়
দেখছে লিটমাস পরীক্ষায় বর্ণের পরিবর্তনের
মতো এই সময় বদলাচ্ছে কিনা রাজাদেরও
মুখবর্ণ।
অনেকে ভেবেও পাচ্ছে না কোনটিকে দেবে
প্রাধান্য।
বললো কাকাতুয়া তাদের ডেকে বলা ভালো,
অধিকাংশ রাজা মেতে থাকে দাবা খেলায়।
ভাবখানা, দেশ উচ্ছন্নে গেলেও তাদের কী
আর আসে যায়।
শোষকদের হয় না কোন বিশেষ ধর্ম ও বর্ণ।
তারা শোষণকেই কেবলমাত্র দেয় প্রাধান্য।
স্বদেশের প্রতিও থাকে না তাদের কারোরই
আনুগত্য? যাচাই করেও দেখতে পারো এর
সত্যতা আছে কত।
আরো বললে সে, বিগত সময়ে দেশে দেশে
জনগণকে শোষণের শৃংখলে বেঁধেছে যারাই,
স্বদেশী কিবা বিদেশি, তাদের সবার একমাত্র
সাধারণ পরিচয়, তারা রাক্ষসী।
আর যাই হোক, তন্নতন্ন করে খুঁজেও পাবেনা
এর বেশি।