দেখেছি তাকে বহুবার পথ নাটিকায়, খলনায়কের চরিত্রে
অভিনয় করতে অতুলনীয় পারদর্শিতায়।
অভিনয় দক্ষতায় তার খ্যাতিও বহুদূর ছড়িয়েছিল। বহু পদক
জয় ও নিশ্চিত করেছিল।
চারদিকে শোনা যেতো তার গুণ কীর্তন। বলতো অনেকে এতো
ভালো অভিনয় করছে যখন সুযোগ পেলে নায়কের অভিনয়ও বোধ হয় করবে ভালো। নতুন নাটকে তাকে নায়কের অভিনয়ের প্রস্তাবও দেওয়া হলো।
ভাবলো সে এই চরিত্রে অভিনয় আগে কখনো করে হয়ে ওঠেনি।
এই চরিত্রে অভিনয় করে সফল হবে কিনা সেই নিয়ে তার মনে সংশয় ছিল কিনা, কি জানি।
ভাবলো জনগণ যখন তাকে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখতে চেয়েছে কেন সে প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেবে? এমন সুবর্ণ সুযোগও কি বারবার আসে?
মনেও ছিল নায়কের চরিত্রে অভিনয় করার সুপ্ত বাসনা। মঞ্চে অভিনয়ের নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসতেও খুব বেশি দেরিও
হলো না।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেল, সেই চরিত্রে অভিনয়ে সফল হলে আরো বড় মঞ্চে তার অভিনয়ের সম্ভাবনা ছিল। বহু প্রযোজক সেদিকে মুখিয়ে ছিল।
এমন সুবর্ণ সুযোগ হাতে পেয়েই সে তাকায়নি নিয়ে আর পিছন
ফিরে। ইচ্ছা নদীর জোয়ারে কেউ ভাসলে নাটকের মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে পারে?
নির্দিষ্ট দিনক্ষণে মঞ্চে নাটক শুরু হলো যখন সে কেমন অভিনয় করে সেদিকে সবার নজর ছিল। সাংবাদিক ও আলোকচিত্রীরাও নিজেদের কাজে প্রস্তুত ছিল।
নায়কের ভূমিকায় অভিনয়ে অদক্ষ হলে যা হয়, দেখেছি মঞ্চে
উঠেই সে ভুলেছে তাকে করতে হবে নায়কের চরিত্রে অভিনয়।
শুরু করে দিলো সে খলনায়কের অভিনয়। কাটলে তাল লয়
দর্শকদের কতক্ষণ আর সহ্য হয়?
ভেবেছি তখন তবে কি লাগলো গ্রহণ? চারদিকে ঘন অন্ধকার।
সময় বেশ গড়ালো, দেখা গেল না গ্রহণ শেষ হওয়ার লক্ষণ।
বিরক্ত হয়ে নাট্যশালা থেকে বেরিয়ে আসার সময় দেখেছি তার অভিনয় নিয়ে দর্শকেরা বাঁধালো এমনি শোরগোল যবনিকা পতন হতেই রইলো শুধু বাকি।