বাতাসে তীব্র দাবদাহ
দুর্বিসহ হলেও বসে থাকার নেই উপায়
নিরুপায় হয়ে যাচ্ছি সবাই দলে দলে
ঘেমে নেয়ে ভাবছি না-হোক সারা পথে
কোথাও মাথার উপর যদি একটু সামিয়ানা জোটে
ক্লান্তিতে খুবই অবসন্ন হতে হবে না।
দেখছি সবাই আছে বটে কোথাও সামিয়ানা
তার গায়ে ছোট বড় কত ছিদ্র, যায় না গোনা।
সামিয়ানার কোথাও অক্ষত থাকলেও কী?
চারিদিকে স্বার্থপরদের অভাব আছে নাকি?
তারা তাদের স্বার্থে এতো মগ্ন
জানা নেই বন্য পশুরাও এতো স্বার্থপর হয় কিনা!
সামিয়ানার কোথাও অক্ষত থাকলে
ছলেবলে হলেও কী?
সেই সুনিবিড় ছায়ায় বাহুবলীরা জমিয়েছে ভিড়।
তাদের ধাক্কায় লাইন-চ্যুতরা একটু ছায়ার আশায়
অধীর আগ্রহে থাকলেও কী? ভুগছে কেবলি দুরাশায়।
ভাবছো, তাদের ছিটেফোঁটা সুযোগও জুটবে নাকি?
প্রতিবাদ-মুখর হলে শুধু গলাধাক্কা নয়,
আরও কত কী জুটতে বাকি?
গণতন্ত্র, ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও কী? ধান ভাঙবে নাকি?
তুমিও ভাবছো সর্বসাধারণের স্বার্থে
সামিয়ানার ছিদ্রগুলো সারাতে নেবে কার্যকরী ভূমিকা।
ওই দেখো, বহমান নদীর গতিপথ কত বাঁকা!
একটু ছায়ার আশায় রিপু করাবে সামিয়ানা?
বোধ হয় কার্যকরী করা দুষ্কর সেই ভাবনা
কেননা তেমন সুদক্ষ দর্জি যেমন দুর্লভ
কোথাও জুটলেও অধিকাংশ লোভে আসক্ত
নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিতে তৎপর।
বাকি পথিকদের না-জুটলেও সুখ,
পথে যদি একটু স্বস্তি জোটে সেই ভাবনায়
তৎপর হয়ে খুঁজছো সুদক্ষ ও নিঃস্বার্থ দর্জি?
কে জানে, দর্জিদের কী মর্জি!
দেশে লেগেছে যেমন ‘স্বার্থপরতা’ ব্যাধির ছোঁয়া
পঙ্গপাল কতটা করেছে বিস্তার? -যায় না কওয়া
সামিয়ানার ছিদ্রগুলি রিপু করবে কে?
গণতন্ত্র, তীর্থের কাকের মতো চেয়ে দেখো চারিদিকে
কোনও সুদক্ষ ও নিঃস্বার্থ দর্জি যদি জোটে।