মোটেও ভালো নেই
ভালো থাকতে দেয়নি ওরা
সারাবছর নখরগুলো বুকে বসিয়েছে আঁচড়
নির্ঝরে রক্ত ঝরলো কম কী?
ওদের আছে কি কোন সহানুভূতি?
বাঁচিয়ে রাখার কোন দায়?
শুধু কি তাই? পারলে ফুসফুস ছিঁড়ে খায়!
অসহায়ভাবে কাটিয়েছি এতকাল।
এখন বেঁচে থাকাও বেশ কষ্টকর।
তার উপর রেমালের আবির্ভাব
স্বভাবদুষ্টু, দেখালো তার তান্ডবলীলা।
অবলীলায় এই ভয়ংকর ঝড় তৎপর হয়ে
উড়িয়ে নিয়েছে মাথার উপরের আচ্ছাদন।
পরনের সবুজ শাড়ি ছিঁড়ে করেছে খানখান
রান্নার ভাতের হাড়ি ধরেও দিয়েছে টান।
চারিদিক এখন জলে করছে থৈথৈ
অথৈ জলে পড়ে ভাবছি
সন্তানদের নিয়ে বাঁচবো কি করে?
জননী কি থাকতে পারে তাদের ছেড়ে?
ভাবছি, কিভাবে হবে সন্তানদের অন্ন সংস্থান।
রেমালকে আর দোষ দিয়ে লাভ কি?
ভাবি, এটাই কি নিয়তি?
নখরগুলোর জন্যই বাড়লো এত সব দুর্গতি।