যদি ভুল না হয় আজ শুক্লপক্ষের প্রতিপদ।
রাতের আকাশে মিটিমিটি জ্বললেও তারা
ওদের সামর্থ্য আছে নাকি অন্ধকার করতে
পারে রদ?
এই সময় মেঘের ঘোমটা পড়া, কে তুমি,
এই অন্ধকারে চিৎকার করে বলে উঠলে,
‘উহ্ আহ্’।
বললে কে কিংবা কারা পথে কাঁটা ছড়িয়ে
রেখেছে। তোমার সামনে যে সকল পথচারী
ছিল তাদের অনেকের পায়েও নাকি কাঁটা
বিঁধেছে।
এ অবধি পথে কাঁটায় ঘটেছে বহু অঘটন।
অনেককে করতে হয়েছে মৃত্যুবরণ।
বললে, একথা বোধ হয় অমূলক নয় কেউ
কিবা কতিপয় পথে কাঁটা ছড়িয়ে রেখেছে।
তারপরও নেই চুপ করে বসে। কেউ কাঁটা
সরিয়ে ফেলছে কিনা সেই দিকেই নজরে
রেখেছে।
বোধ হয় সমাজ ভুগছে এ জটিল অসুখে।
চোখে অন্ধকার দেখছে চারিদিকে।
বললে এখন অবিরাম চলছে সেসব কাঁটা
সরানোর পালা। এ কাজে নেমেছে যারা
দেখছে না কেউই বেলা অবেলা।
তারা অনেকে রাতে অন্ধকারে মোমবাতির
মিছিল করে পথে নেমে কাঁটা সরাতে শুরু
করছে।
ভাবছে তারা কিছু কাঁটা সরানো গেলেও,
বাদবাকি সরিয়ে পথ পরিষ্কার করা যাবে
কখন!
দুষ্কৃতিরা কতকাল এভাবে পথ অবরুদ্ধ
করে রাখতে পারে? এখন দেখছে তারা
কত মানুষ কাঁটা সরাতে নেমেছে সাহসে
ভর করে।
কে তুমি, তৎপর হয়ে কাঁটা সরাতেই শুরু
করলে? ঘুটঘুটে অন্ধকার, এ পথ পেরিয়ে
এসে এসময় ঘোমটার আড়ালে থেকে মুখ
বাড়ালে?
এভাবে দৃঢ় পদক্ষেপ নিলে কেউ কি আর
প্রতিবন্ধকতার দেওয়াল আগলে রাখতে
পারে?
কাস্তের মতো আলোর যে রেখাচিহ্ন দেখা
গেলো তাতে হয়তো সেরে উঠতেও পারে
সমাজের এই জটিল অসুখ।