বোঝাই কি করে সেটি কতটা চতুর!
দূর থেকে তাকিয়ে দেখে কোথায় কী আছে,
খাবারের সন্ধান পেলে থাকে না একটু বসে
কে বলতে পারে তার দৃষ্টি যে কতদূর!

এক নিঃশ্বাসে উড়ে এসে খাবারে ঝাঁপিয়ে পড়ে
শিশুর মুখ থেকেও খাবার কেড়ে নেয় ছোঁ-মেরে
হায় রে, এ কাজে এ কী সুতীব্র নেশা!
চুরি ছিনতাইয়ের কাজে বাদশা।

রাতদিন মেতে আছে এই একমাত্র কাজে
দুষ্কর্ম করলেও কখনো মুখ লাল হয় না লাজে।
স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে কাক খাবার চুরি করে
জড়ো করে তার গুপ্ত কুটিরে।

কেউ একাজ দেখেছে কিনা তাকায় না ফিরে
ভেবেছে তাকে রুখবে কে আছে বিশ্ব সংসারে?
বোধ হয় এ কথাও হয়নি তার বোধগম্য
কেউ আছে প্রদীপের সলতে পাকানোর জন্য।

ভাবলেও কী, এ কাজে তার জুড়ি মেলা ভার।
কে জানে, একাজ করে কাক পাবে কি নিস্তার!
তার এ কাজ নজরে পড়েছে কাকাতুয়ার
বোধ হয় এ কর্ম দেখে সে বসে থাকেনি আর।

কাকাতুয়া দেখেছে বিশ্ব রেকর্ড ঘেঁটে
কাক যা চুরি করেছে কেউ পারবে না ছুঁতে,
সহজ না হলেও এ কাজে গড়েছে বিশ্বরেকর্ড
এখন সচেষ্ট কেউ যেন না পারে রেকর্ড ভাঙতে।

কাকাতুয়া দেখেছে কাক করেছে কী?
কেউ যেন খাবারের কাছে পৌঁছতে না পারে
সেই উদ্দেশ্যে করে রেখেছে পথ অবরোধ
তার পরেও থেমে থাকতে পারে নাকি?

পথে ফেলে রেখেছে অজস্র কাঁটা ও জঞ্জাল
কার্যত সমস্ত পথ করে রেখেছে বেহাল।
কেউ কেউ ভাবছে এখন ধরতে হবে হাল
সরিয়ে ফেলতে হবেই পথের সব জঞ্জাল।

এ পৃথিবীকে করতে চেয়ে সবার বাসযোগ্য  
তারা পথে নেমে দেখছে পথের একি হাল!
পথের জঞ্জাল ও কাঁটা সরাতে নেমেছে বটে
কাক ব্যস্ত সেই পরিকল্পনা করতে বানচাল।