হয়তো দাম্ভিকতা ভুলে সতর্ক হয়ে চললে
এখন এই বিপদের সম্ভাবনা দাঁড়াতো না
যে পথ পেরিয়ে এসেছ পথে ছিল পথ নির্দেশনা
সেগুলো দেখে চললে এমন হতো না।
বলো তো, ঐতিহাসিক নিদর্শন করলে নিশানা
এভাবে পথভ্রষ্ট কি হতে হতো?
চৌরাস্তার মোড়ে ছিল কর্তব্যরত অভিজ্ঞ প্রহরী
পথের খবর রাখার বিষয়ে আছে কি তাদের জুরি?
তাদের জিজ্ঞেস করে তাদের নির্দেশনা মানলে
নিশ্চয় লক্ষ্যস্থলের নিশানা খুঁজে পাওয়া যেত
হতেও হতো না এখন বিভ্রান্ত।
দম্ভের বশে হয়েছ নাকি এখন পথভ্রষ্ট?
ইষ্টদেবতার নাম স্মরণ করলেও এখন হবে কী?
সঠিক পথ খুঁজে পাবে নাকি?
হায়রে, অতিশয় আত্মবিশ্বাসে ঘটালে কত কী!
কে জানে, এখন লক্ষ্যস্থল থেকে কতদূরে দাঁড়িয়ে?
এখন বেলা গড়ালো, সূর্য গেছে পাটে
চারিদিক ঢেকেছে অন্ধকারে।
দশ হাত দূরের লক্ষ্যবস্তু দেখা যাচ্ছে না কোনমতে।
পথ চেনা দুষ্কর, কোথায় পৌঁছেছ কে দেবে খবর?
যে পথ পেরিয়ে এসেছ সেটি ছিল বৈকি আঁকাবাঁকা,
দেখেছ মাঝে পথ দু’দিকে বিভক্ত হয়ে
চলে গেছে, কে জানে, কোনটি কিসের উদ্দেশ্যে।
বোধ হয় সেখানেই পথ চিনতে হয়েছে ভুল
আর এখন দিতে হচ্ছে ভুলের মাশুল।
অন্ধকারে হাঁটতে গিয়ে হচ্ছে এ কী?
পায়ের নিচ থেকে উঠে আসছে
শুকনো পাতার খর খর শব্দ?
অদূরে শোনা যাচ্ছে শৃগালদের হূক্কা-হূয়া চিৎকার?
বুঝিয়ে দিচ্ছে এখানে বিরাজ করছে ওদের সরকার?
মনে হচ্ছে পথ এখানেই শেষ?
এখন হাঁটছ যেন বনে বাদাড়ে?
কে জানে, এগিয়ে যাচ্ছো কি ভাগাড়ের দিকে।