রোজকার খাবারে বাবুমশাইয়ের ধরেছে অরুচি
বললেন রাঁধুনিকে ডেকে, ‘রাঁধুনি, ওল-চিংড়ি বহুদিন খাইনি
বাজার থেকে ওল কচু ও চিংড়ি কিনে আনি
সেটাই কষিয়ে রান্না করো, দেখি খেলে ফিরে কি রুচি।
হয়নি বেশি দেরি, একটু পরেই ঘাম নেয়ে বাজার করে ফিরে
স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে বাবুমশাই চায়ের কাপে চুমুক দেবেন
ঠিক তখনি তার ঘরের দরজায় ঠক ঠক কড়া নাড়ার শব্দ
রাগে অগ্নিশর্মা রাঁধুনি, গজগজ করতে করতে ঢুকলো ঘরে।
বললো সে, বাবুমশাই আপনার হলো কী?
ওল- চিংড়ি রান্না করার প্রস্তুতি নিয়েছি
বাজার থেকে যা এনেছেন এখন করবো কি ভাবছি
এনেছেন বুনো ওল, সহজে জব্দ হবে কি?
আপনি ছিলেন কি অন্য কোনও ভাবনায় মশগুল?
নাকি চিনতে করেছেন ভুল?
আনতে হতো ওল কচু, দেখছি এনেছেন বুনো ওল
আর যাই হোক এবার গুনতে হবে কি মাশুল?
এই বুনো ওল সহজে দমবে না তো।
বাবুমশাই যান, বাজার থেকে নিয়ে আসুন তেঁতুল।
ওর গলায় চুলকানোর সাধ মিটিয়ে দি’
বাঘা তেঁতুলে জব্দ না- হয়ে থাকতে পারবে তো।