শুনেছি স্বাধীন হবার পরে শুরুতে সে দেশ
অবিচল ছিল সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে।
নবগঠিত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, সাম্য প্রতিষ্ঠা মূল
উদ্দেশ্যে। সে কারণে বিশেষ কিছু উদ্যোগও
নিয়েছিল।
সেগুলোর সবই ছিল প্রশংসনীয়।
প্রথম প্রচেষ্টা, তাই পরীক্ষা অবশ্যই প্রার্থনীয়।
সেজন্য রাষ্ট্র দশ বছরের সময়সীমাও ধার্য
করেছিল।
পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের কাজও শুরু হলো।
সময় যত গড়ালো গঙ্গা বক্ষ দিয়ে কলকল
শব্দে বয়ে গেল বহু জল।
দেখলো জনগণ চলছে পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ,
কিন্তু নেই সমাপ্তির কোন লক্ষণ।
সে রাষ্ট্র এরপরেও একে একে দশ বছর করে
পরপর সাতবার সময়সীমা বাড়ালো। তবু সে
নিষ্ফলা। পরীক্ষার সামগ্রিক ফল আজও বের
হলো কৈ?
আজও বিস্তারিত জানা গেল না পরীক্ষায় আছে
কি ত্রুটি বিচ্যুতি? সেসব থাকলে করণীয় কী,
সেও থেকে গেল চিন্তার বাইরে।
বললো কাকাতুয়া, এ বিষয় ভাবনা তার মনেও
দিয়েছে সুড়সুড়ি। স্বস্তি পেতে মাটিতে খেয়েছে
গড়াগড়ি।
তবুও স্বস্তি না মেলায় সে মাদার গাছে মাথা
চুলকে বিলম্বের কারণ খুঁজতে গিয়ে ভাবলো,
পরীক্ষা করতে গিয়ে কত কি করতে হয়।
আরশোলা, ব্যাঙ, গিনিপিগ আরো কত কি
রাখতে হয় সংগ্রহের তালিকায়।
প্রয়োজনে সেগুলো সংগ্রহ করতে তাদেরকে
জরুরি পদক্ষেপ ও নিতে হয়।
ভাবলো পাখি, এমন হয়নি তো তীরন্দাজের
মতো বান নিক্ষেপ করে নির্দিষ্ট বস্তু আহরণ
করতে গিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় তাদের কারো
হাতে কোনও বক মরেছে আর সেই পাখির
পোস্টমর্টেম করতে গিয়ে বিলম্ব হচ্ছে।
সে যাই হোক, খোলা চোখে সকলেই দেখছে
এই পরীক্ষায় বিশেষ সাফল্য জোটেনি। ভাবছে
অনেকে, কে জানে, এই পরীক্ষার ফল জানতে
আর সময় লাগবে কতখানি।
এ কথাও ভাবছে, রাত জেগে পরীক্ষা করতে
গেলে শরীর আর কত ধকল সইতে পারে?
পরীক্ষকদের চোখও মুদে আসতে পারে।
জনগণের অনেকে ভাবছে, এই সময়কাল আরো
গড়ালে ঋতু পরিবর্তনের কারণে হাওয়ার অভিমুখ
বদলে যেতে পারে।
বললো পাখি, হয়েছে ঠিক তাই। এখন পূর্ব দিক
থেকে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। তাতেই নাকি
পরীক্ষকদের কারো কারো শরীরে ধরেছে কাঁপুনি।
বিশ্রামেও বিঘ্ন ঘটেছে। তারা শয্যা ছেড়ে আবারো
কাজে নেমেছে।
সুখের বিষয়, এবার পরীক্ষার ফলও মিলতে শুরু
হয়েছে।
যাক গে , বিলম্বে হলেও ভালো। পুবের হাওয়া যে
লেগেছে তাদের গায়ে ও ফল জুগিয়েছে।
নয় তো, কি জানি, কী দাঁড়াতো।