এই তো সেদিন, তখন সন্ধ্যা আসন্ন প্রায়,
গাঁয়ের গৃহিণীরা ঘরে ঘরে সন্ধ্যা প্রদীপ
জ্বালাতে ব্যস্ত। ঠিক তখনি ঘটলো এক
কাণ্ড।
কাকাতুয়া হন্তদন্ত হয়ে চারিদিক ঘুরে এসে
বসলো গৃহস্থ বাড়ির উঠোন সংলগ্ন আমড়া
গাছের এক কান্ডে।
বললো পাখি, সে নাকি দেখে এসেছে কিছু
মানুষের লোভলালসা তাদের চাহিদার চেয়ে
মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে।
দিশেহারা তারা লোভলালসায়। সমাজকেই
শুষে খেতে অতিশয় তৎপরতার সাথে তার
শরীরে তাদের আত্মকেন্দ্রিকতার বিষ ঢেলে
সমাজকে করেছে কলুষিত।
বললো পাখি, সমাজ অন্যায় অবিচার সহ্য
করতে পারে আর কত?
মৃতপ্রায় সমাজ নাকি এখন যন্ত্রণায় কাতর
হয়ে অঙ্গ সঞ্চালনা করতেও হয়েছে তৎপর।
পাখির নাকি মনে হয়েছে সে এখন বাঁচার
তাগিদে হয়েছে প্রতিবাদ মুখর।
দেখেছে পাখি শুরুতে অল্প ক'জন অন্যায়
অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের বীজ করলো
রোপন।
সেগুলি এখন অঙ্কুরিত হয়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে
বৃক্ষের মতো, শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে দিয়েছে
শত শত।
লালসাভোগীরা কি এদের দেখে সহ্য করতে
পারে? তাদের তো গাত্রদাহ হতেই পারে।
বললো পাখি, খবর পেয়েছে লালসাভোগীদের
ক'জন এদেরকে আগাছার মতো মূলসহ উপড়ে
ফেলতে হয়েছে তৎপর কিন্তু তারা এখনো বুঝতে
পারেনি প্রতিবাদের মূল পৌঁছেছে মাটির কত
গভীরে।
বললো পাখি, সে নাকি এখন নজরে রাখছে এই
পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াতে পারে।
উপায়ান্তর খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এখন গুনতে হবে
অপেক্ষার প্রহর।