শুনছি আবারো ভোট এসে গেল
চারিদিকে ঢ্যাড়া পেটানোও শুরু হলো।
বনবন করে চারদিকে ঘুরে এসে
বললো কাকাতুয়া সে নাকি দেখে এসেছে
রাজনীতির কারবারিরা কেউ নেই বসে,
তাদের অনেকেই গলায় কারণবারি ঢেলে
হেলেদুলে ভোট সওদা করতে বেরিয়েছে।
পিছন পিছন যাচ্ছে তাদের পোষ্যগুলো
তরতাজা, দেখতে শুনতে বেশ ভালো।
দেখছে তারা হতদরিদ্র ভোটারদের এ কী হাল!
তাদের ঘর নেই, চাল চুলো নেই
নেই আরো কত কী!- তার অন্ত নেই।
তারা বেঁচে আছে খাবি খাওয়া মাছেদের মতো
অবস্থা বেগতিক, বেহাল!
তাদের দেখেই কারবারিরা ভাব-এ গদগদ
কেঁদে ভাসালো কুমিরের অশ্রু ঝরানোর মতো!
কারবারিরা ভোটারদের এ কথাও শোনালো ভোট
ঘোষণা না হলে তাদের জন্য কত কী করা যেতো,
উন্নয়নের কাজে কি কোনও বাধা হতো?
ভোট ঘোষণা করায় বাঁধলো বিপত্তি।
অর্থ সাহায্য করলেই চারদিকে বাঁধবে বিবাদ
নির্বাচন কমিশন দেখিয়ে দেবে গরাদ,
তাই এখন খেলতে হবে লুকোচুরি।
হতদরিদ্র এই ভোটারদের শর্ত সাপেক্ষে
খয়রাতি সাহায্য দিতে পারি।
বলছে কাকাতুয়া, সে নাকি দেখে এসেছে
গ্রামেগঞ্জে বস্তিতে বসেছে হাট।
চলছে ভোট কেনাবেচা।
ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে চলছে বেশ দরাদরি
পাইকারদের এ বলে এত, ও বলে অত দেবো
এখন নাও কিছু অর্থকড়ি
বাদবাকি? সব ভোটের পরেই মিটিয়ে দেবো
তোমাদের ভোটে যদি জিততে পারি।
বুঝেছে তারা ভোট পেতে একাজ অপরিহার্য
সেজন্য প্রয়োজনে করতে হতে পারে ধারকর্জ।
বলছে নিজেরা ইশারায় এখন আওড়ে যাই তো
মুখের বুলি, শোনায় যেন পাখিদের কলকাকলি।
ভোট মিটলেই সেকথায় মারবো গুলি।