দেখেছি আপ্রাণ প্রচেষ্টায় হ্যামলিনের বিখ্যাত বাঁশিওয়ালার মতো মোহন বাঁশি বাজাতে শিখে তারপর এক জায়গাতে আর থাকোনি বসে।
ইচ্ছা হলো কি তার মতো সুর তুলে বাজিয়ে বাঁশি পথে নেমে পড়বে অর্থ রোজগারের উদ্দেশ্যে?
দেখেছি কী মনোহর সুর তুলে উল্লাসে বাঁশি বাজাতে বাজাতে পা বাড়ালে উন্মত্ত সাগরের দিকে!
সেসময় কেন যে একবারও তাকাওনি পিছন ফিরে।
পিছন ফিরে তাকালে দেখতে পেতে তোমার
বাঁশির সুর শুনে তোমার-ই গুণমুগ্ধ সমাজ তোমাকে অনুসরণ করছে।
কেন যে সাগরের তটে পৌঁছে থেমে না-থেকে
ধীরে ধীরে নেমে পড়লে জলে।
ভাবতে অবাক লাগে সাঁতার কাটতে অপারগ সমাজ কিসের নেশায় তোমাকে অনুসরণ করে নেমে পড়তে পারে সাগরের জলে!
সে কি পড়েছিল তোমার কোনো প্রলোভনে?
দেখেছি সেই উত্তাল সাগরে পড়ে তার কী দশা হলো। কিভাবে খাচ্ছে হাবুডুবু। এমন দৃশ্য আগে দেখিনি কোনকালে।
বাঁশিওয়ালা, মনে প্রশ্ন জাগে এ কাজ করলে কি সমাজকে ভাসাতে সাগরের জলে? সেই সময় মোহন বাঁশি না- বাজালে নতুবা সাগরের
দিকে না- গেলে কি হতো না?
সমাজের ও সাহস বলিহারি। দুঃখের কথা কী আর বলতে পারি?
হায় রে সমাজ, জলে নামার আগে একবারও ভাবলে না সাঁতার কাটতে না- জানার কারণে তাকে অনুসরণ করে উত্তাল সাগরে নামলে ভেসে যেতে হতে পারে।
এখন সাগরে ভেসে যাওয়া ছাড়া আর গত্যন্তর আছে কি?