ঘনিয়ে এসেছে গোধূলি
খালি গাড়ি, তবু পথে পড়েছি সীমাহীন দুর্ভোগে
দীর্ঘদিন রাস্তার যথাযথ সংস্কারের অভাবে।
কে জানে, এ সময় স্মৃতিভ্রম হলো কিনা!
স্মৃতিতে আঁচড় কাটলেও মনে পড়ে না
এ রাস্তা সংস্কারে সবশেষে হাত দিয়েছে কে, কবে?
বর্তমানে রাস্তার অবস্থা? এমনি বেহাল দশা
অতিশয় বৃদ্ধদের কপালে বলিরেখার ভাঁজে ভাঁজে
ছোটখাটো গর্তের মতো হলেও না হয় হতো
দুর্ভোগের চিহ্ন!
গাড়ি চালাতে গিয়ে কষ্ট করে সামলে নেওয়া যেত
কিন্তু সেও আর হলো কোথায়?
যন্ত্রণার শেষ নাই। জানিনা সে অযথা কিনা!
ভাবনা মগজে মেঘের মতো কুন্ডলী পাকায়
জানতে ইচ্ছা হয় সে দায় কার?
সেকথা জিজ্ঞেস করলে আগে দায়িত্বে ছিল যারা
তারা সবাই কপাল কুঁচকে তাদের দায় এড়িয়ে যায়
সোজাসাপটা কথা তাদের মুখ দিয়ে মিথ্যা কথা
অনর্গল ফোয়ারার মতো বেরিয়ে আসে
তারা ভাব দেখায় এ কাজে তাদের দোষ কিসে?
আগে এ কাজের দায়িত্বে ছিল যারা
তারা সবাই ছিল আঁকাড়া চালের মতো
তাদের জন্যই দুর্ভোগ বেড়েছে যত,
অবলীলায় তাদের উপর সব দায় সঁপে দিয়ে
এখন কর্মকর্তারা দুধেভাতে আছে বেশ মজলিসে।
যাই হোক আগে খুব জোরে না হোক
কোনক্রমে গাড়ি চালানো যেতো খানাখন্দ এড়িয়ে
গতি বড়জোড় ঘন্টায় পাঁচ -দশ কিমি হবে
তবে এখন রাস্তার মোরাম একটুও নেই আর
এ যেন শুধুই অস্থি চর্মসার।
কী ভয়াবহ দুর্দশা এই অভাগার!
কে জানে, সহসা পাবে কি এ দুর্দশা থেকে নিস্তার?
রাস্তা এখন যে পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে
বোধ হয় ইঞ্জিনে ঢুকেছে অজস্র ধুলাবালি
মনে পড়লো একটু আগেই পথের ফুটপাতে  
ক'জন বৃদ্ধ নিজেরা করেছিল বলাবলি
রাস্তা নিয়মিত ও যথাযথ সংস্কার না হলে
নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগ রোজ কাঁটার মতো বিঁধে গলে।
এখন গাড়ি চালাতে গিয়ে এসকেলেটরে পা দিয়ে
জোরে চাপ দিয়েও কাজ হলো না
গিয়ার বদল করতে গিয়ে চেষ্টা করেও, না।
দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করায় গড়ালো সময়
অবশেষে বৃদ্ধদের কথার হলো বোধোদয়
চেষ্টার ফসল? শরীর থেকে ঘাম ঝরলো অনর্গল।
তখন ব্যর্থতার গ্লানি বুকে নিয়ে মনে হলো
'আর দেরি নয়, এখনি বদলে ফেলি গাড়ির ইঞ্জিন
নয়তো, এ গাড়িই একেবারে'।