এ কথা কি আর বলা যায় মনের ইচ্ছাপূরণে
তীর্থের কাকের মতো কতকাল থেকেছি অপেক্ষায়?
সাধ ছিল, খেতে হবে আমসত্ত্ব দুধে ভাতে
গতকাল অবধি সে আর জুটলো কৈ, বরাতে?
ভেবেছি সব সময় কখন হবে সেই ইচ্ছা পূরণ।
বলবো কী আর ওদের তুঘলকি কারবার
মাঝে মাঝে ইচ্ছাগুলো হতে চাইতো বাঁধন ছাড়া
তখন বুঝিয়ে বলতে হতো
ওরে সবুর কর, আর একটু দাঁড়া
চেষ্টা কি কম করছি দিতে গা- ঝাড়া?
যদিও ওদের একথা বলেছি
বাঁধন ছেঁড়ার ভয় তো আছে, অস্ফুটে বলেছি,
কে জানে, করতে হবে নাতো অরণ্য রোধন?
রাতে বিছানায় ঘুমতে গিয়েও দেখেছি
ছটফট করেছে মন, দুষ্টু বানর কত আর সয়?
ভেবেছি আমসত্ত্ব দুধে ভাতে আর না খেলেই নয়
এখনো ওদের একসাথে জোটানো গেল না
তাই বহুবার পিছতে হলো কার্যকরী করতে সে ভাবনা।
বলা ভালো, দুধ জুটলেও হয়তো জোটেনি আমসত্ত্ব
নয় তো ঠিক তার বিপরীত,
ইচ্ছা পূরণ হতে রইলো বাকি
সেগুলো তুষের আগুনের মতো জ্বললো ধিকিধিকি।
তখন কী আর করি? একান্তে বসে গীত গেয়েছি,
'আমার সাধ না মিটিলো আশা না পুরিল....
আজ আবার কী যে হলো, কারণ বলাও দুষ্কর!
ইচ্ছাপূরণে মন আঁকুপাঁকু করছে সারাক্ষণ।
এখন কি জানি বরাত জোড়ে কিনা
ইচ্ছাপূরণের সব উপাদান এসেছে হাতের নাগালে
ভয় তো আছেই, বিলম্বে যদি হাতছাড়া হয়
তাই ভাবছি আর মোটেও দেরি নয়
ইচ্ছাগুলো কেন বাদুড়ের মতো থাকবে ঝুলে?
দেরি না করে মেটাতেই হবে অপূর্ণ বাসনা
মিটিয়ে নিতেই হবে খানাপিনা।
এখন খুবই ব্যস্ত, মোটেও কথা বলো না,
লেগে পড়েছি দুধে ভালোভাবে মেশাতে আমসত্ত্ব।