তীব্র দাবদাহে পুড়েছে যখন দেশ
জনজীবনে স্বস্তির ছিল না কোনও রেশ
পথচারীদের অবস্থা ঝলসানো রুটির মতো
আবহবিদরা দিতে পারেনি স্বস্তির সন্দেশ।
পরিস্থিতি বদলেছে, এখন ধেয়ে আসছে রেমাল
চারিদিকে জনরব উঠছে পরিস্থিতি সামাল সামাল
এই ঘূর্ণিঝড়ের নাকি মত্ত হাতির মতো দাপট খুব
করে দিতেও পারে জনজীবন বেসামাল।
এই ঝড় নেড়ে দিতে পারে দুঃস্থদের ঘরের খুঁটি
মুহূর্তে দাঁড়াতে পারে ভয়াবহ পরিস্থিতি
চালাঘরের ছাউনিকে ওড়াতে পারে ঘুড়ির মতো
বোঝা দুষ্কর, দামাল এই ঘূর্ণিঝড়ের মতিগতি।
পরিস্থিতি বদলে দাবদাহ থেকে স্বস্তি মিললেও কী!
কে জানে, দুঃস্থদের আরেক দুর্গতি দেখা দেবে কি?
কে জানে, গৃহহারাদের কোথায় হবে ঠাই!
বিপন্ন মানুষদের হতে হবে কি ঈশ্বরের মুখাপেক্ষী?
কারো মানবতার অন্তর্জলি যাত্রা না-হলেই ভালো
সবাই আলোর মুখ দেখুক, ঘুচুক মনের কালো।
শূন্য হাতে এ বিশ্বে আসা যাওয়াই যখন নিয়তি
ক্ষতি কী, চলে যাবার আগে জ্বালিয়ে গেলে আলো।