তাকে কাছে ডেকে নিয়ে বললেন রাজামশাই
শোন রে রামু, মনের কথাটা তোকে বলে যাই
এখন আসছে যেন হুপিং কাশি
চেপে রাখতে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছি
এখন ঘটনাক্রমে না বলেও আর উপায় নাই।
মৃগয়ায় গিয়ে অজস্র পশু নিধন করেছি বটে
কোথাও ব্যাঘাত ঘটেনি ছিলাম তো স্বস্তিতে
পেরেছি ওদের সব চিহ্ন করতে লোপাট
যেভাবে রুখেছি সেটি বটেই লৌহকপাট
কেউ কিছু করতে পারেনি গিয়েও আদালতে।
এবার হরিণীকে মেরে মোটেও নেই স্বস্তিতে
কি যে হলো রাতে ঘুম আসে না কোনমতে!
কেন সিবিআই করছে এখন ঘোরাঘুরি
পুলিশ কুকুর আনতেও করছে না দেরি
চেষ্টার কসুর করিস না গন্ধও ধামাচাপা দিতে।
তার কোনও চিহ্ন পেলে ওরা যাবে আদালতে
যদি ধামাচাপা দিয়ে পারিস গন্ধও রুখে দিতে
ওরা আদালতে গিয়ে তখন করবে কি?
তাকে মেরেছি প্রমাণ করতে পারবে কি?
বিচারক সাজা শোনাবে কোন তথ্যের ভিত্তিতে?