এযাবৎ জেনেছি সেই কোন যুগে শ্রী শ্রী
গণেশ ‘মহাভারত’ মহাকাব্য লিখেছেন
যথাযথ ভাবে ব্যাসদেবের পাশে বসেই
তার নির্দেশে।
তারপর কতকাল কেটেছে। সেদিন রাতে
বিছানায় শুয়েছি। ঘুম আসতে বাকি। ঠিক
তখনি মনে একটি প্রশ্ন দিয়েছে উঁকি।
ভেবেছি ইতিমধ্যে ঘটেছে আরো কত কী।
কালের পাকদণ্ডী টাও থেমে নেই,অবিরাম
ঘুরছে সেইসাথে। তবে যে সব ঘটনাগুলো
ক্রমাগত ঘটছে সেগুলো কোথাও লিপিবদ্ধ
হচ্ছে কি?
একথা ভাবতে ভাবতে, কে জানে কখন,
ঘুমিয়ে পড়েছি।
স্বপ্নে দেখেছি শ্রী শ্রী গণেশ ব্যাসদেবের
পাশে বসে। ব্যাসদেব যা বলছেন গণেশ
সেকথা গুলো মুখ বুজে লিখছেন।
এই দৃশ্য দেখে মনে জেগেছে কৌতূহল,
‘তারা দু'জনে লিখছে কী? সেকথা টিও
ভেবেছি পারিপার্শ্বিক অবস্থা মহাভারত
লেখার সাথে হুবহু মিলছে নাকি?
এইতো সেই গ্রাম ‘মানা’। শুনেছি এখানে
বসেই তারা দুজনে মহাভারত লিখেছেন।
এখনো এখানে বসে লিখতে তাদের নেই
কোনও মানা।
সেসময় থাকতে পারিনি আর চুপ করে
বসে। জিজ্ঞেস করেছি মুনিকে, ‘এখানে
বসে দু'জনে করছেন কী?
প্রশ্ন শুনেই ব্যাসদেব থাকতে পারেননি
চুপ করে। বসলেন একটু নড়েচড়ে।
বললেন মুনি, এযুগে মহাভারতের সেই
দ্রৌপদীর উপর দুঃশাসনের কলঙ্কিত
ঘটনার চেয়েও কলঙ্কিত ঘটনা ঘটছে।
সেগুলো লিপিবদ্ধ না করলে মহাকাব্যটি
অসম্পূর্ণ থাকবে নিশ্চয়।
তাই সেইসব নিয়েই মহাভারতের আরও
একখণ্ড লেখার কাজ করছি এখন এখানে
দু'জনে বসে।
জিজ্ঞেস করেছি তাঁকে এখন যে অধ্যায়টি
লিখছেন কী নাম তার?
বললেন মুনি,‘কলঙ্কিত অধ্যায়!’