এখন সারাদিন মাছির মতন বন বন করে
উড়ছো কেন? মনে হয় তুমি উদ্বিগ্ন, তন্ন তন্ন করে কিছু খুঁজছ যেন?
দেখছি কালের ঘুর্নাবত্তে পড়ে এভাবেই কী
যেন খুঁজছে আরও শত সহস্র। এই দৃশ্যটি দেখে আরো অনেকেই মর্মাহত।
শুনেছে কাকাতুয়া তাদের মুখ থেকে ধর্মের কারণে তারা হয়েছে সংখ্যাগুরুদের দ্রোহের শিকার।
রক্ষাকবচের অভাবে আশ্রয়ের খোঁজে সেই শৈশবে বাধ্য হয়েছে স্বদেশ ছেড়ে ভিনদেশে পালিয়ে যেতে। সেই সময় পথে মা বাবাকে হারিয়ে ভেসেছে উত্তাল কালের স্রোতে।
হাবুডুবুও খেয়েছে খুব। মাথার উপর দিয়ে
বয়ে গেছে অজস্র ঢেউ।
নিজেদের সেরা সম্পদ হারিয়ে কেউ কি আর
চুপ করে থাকতে পারে বসে? সেই সময় থেকে আজও তারা তাদের পিতা-মাতাকে তন্ন তন্ন করে খুঁজছে।
দেখেছে আকাশের তারারা তারা কেঁদে কেটে
এযাবত কী পরিমাণ হয়েছে হয়রান! অস্ফুটে
বলতেও শুনেছে এই কি ছিল বিধির বিধান?
আজও সেই যন্ত্রণার হয়নি অবসান। শৈশবের অমলিন সেই স্মৃতি আজও তাদেরকে রাতদিন ঘুনপোকার মতো কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে।
এখন বার্ধক্যে এই যন্ত্রণা বরং বেড়েছে।দেখছে
অনেকেই এই যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তারা সারাক্ষণ উহ্, আহ্ করছে চিৎকার।
মনের দুঃখেকষ্টে যন্ত্রণায় বলছে অনেকে কেন যে কালনেমী দেশটা ভাগ করেছে? তাকে তারা জানাচ্ছে ধিক্কার।
তুমিও কি তাদের মতন মা-বাবাকে খুঁজে পেতে
চিরুনি তল্লাশ করছো চারিদিকে?