ভাবিনি আগে এই সময় দেখবো জলাশয়ের
এই করুন পরিণতি! কে জানে, এই কি ছিল
তার নিয়তি!
প্রত্যাশা ছিল দেখতে পাবো গভীর স্বচ্ছ জলে
পরিপূর্ণ। জলে ফুটে থাকবে অজস্র জল পদ্ম।
শাপলাও বাদ যাবে না।
প্রকৃতিপ্রেমী ভ্রমণ-পিপাসুরা নৌকাযোগে এই
জলাশয়ে করবে বিচরণ।
এখন সেই আশা আর পূর্ণ হলো কই? বরাত
মন্দ বলতেই হয়, নয় তো এই করুন দৃশ্যের
মুখোমুখি হয়ে এভাবে আশাহত হতে হয়?
হায়রে, দেখছি জলাশয়ের এ কী দুর্দশা! সেটি
খরার কবলে পড়ে শুকিয়ে এখন পাঁকে করছে
থৈ থৈ। একটু সময় আগেও পাঁকে বহু পাকাল
মাছ করেছে নড়াচড়া।
দেখেছি ওরা ওদের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে লেজ
দিয়ে পাঁক করেছে ঘাঁটাঘাঁটি। কে জানে, এখন
ভাবছে কি ঘনিয়ে আসতে পারে দুর্গতি?
কাদাখোঁচা, এই সময় ওদেরকে ধরতে এখানে
হাজির হয়েছিস দেখে ওরা আর নড়াচড়া করে
কোন সাহসে? মনে হয় ভয়ে একেবারে সিঁটিয়ে
গেছে।
নড়াচড়া করেও এখন আর দিচ্ছে না সাড়া।
কাদাখোঁচা, ওদের ধরতে পাঁকে নেমে ওদের
খোঁজাখুঁজি করতেও শুরু করেছিস বটে, কিন্তু
পাকাল মাছ ধরা কি এতোই সোজা? কে জানে,
ওদের খুঁজে পাবি কি?