বেলুনটা দীর্ঘ সময় হাওয়ায় দুলেছে। হঠাৎই দমকা হাওয়া এসে বেশ নাড়িয়ে দিয়েছে।
ঝুনঝুন শব্দও হয়েছে। এই শব্দ শুনেই ক'জন বলে
ফেলেছে, ‘বোঝা গেছে বেলুনের ভিতরে নুড়ি, বালি
কিংবা অন্য কিছু আছে।’
সেখানে উপস্থিত ক’জন থাকতে পারেনি চুপ করে
বসে। ‘নেই নেই, ভিতরে কিছুই নেই বলে চিৎকার
করে উঠে বাকিদের কৌতুহল বাড়িয়ে দিয়েছে।
কৌতুহলীরা থাকতে পারেনি আর বসে। তারা বলে
ফেলেছে, ‘তবে তদন্ত করে দেখা দরকার'।
এই নিয়ে দুপক্ষে বাকবিতণ্ডা ও চলেছে। সেই সময়
হাওয়া থমকে দাঁড়িয়েছে। তবে এই কথার পরে চুপ
করে বসে থাকতে পারে আর?’
তদন্ত চেয়েছে যারা তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনের
জন্য সিবিআই এর কাছে ছুটে গেছে। এক্সরে করলে রহস্য উন্মোচিত হবে গোয়েন্দারা ভেবেছে।
তবে কাজে নেমে দেখেছে এই কাজে কারো কারো
ঘোর আপত্তি। বলছে তারা, বেলুনটা ফেটে ঘটাতেই
পারে বিপত্তি।
বেলুনের ‘এক্সরে করা যাবে না’- শর্ত আরোপ করে
বসেছে। এভাবে দীর্ঘ সময়ও কেটেছে। এই অবসরে
সূর্য পশ্চিমে ঢলে পড়েছে।
সিবিআই পড়েছে ফাঁপরে। ভেবেছে তবে হাতড়াতে
হবে অন্ধকারে?
একথাও ভেবেছে, কে এই বেলুন ফুলিয়েছে জানা
দরকার। কিন্তু সে যদি হয়ে থাকে পগারপার?
ভেবেছে তার সম্পর্কে তথ্যসূত্র পেতে প্রত্যক্ষদর্শী, গোয়েন্দা ক্যামেরা কিবা ফেলে রেখে আসা সামগ্রী
বড় ভরসা। সেগুলোই দেখাতে পারে দিশা।
বেলুন যে ফুলিয়েছে সে ঘটনাস্থলে কিছু তথ্যসূত্র
রেখে যাবে সেটাই দস্তুর। তার তথ্য তালাশ করে
বিদুর।
যদি সেও না থাকে? সে পথ নিশ্চিত যাবে বেঁকে।
ঘুরপথ, তথ্য তালাশ করে জানতে হবে বেলুনটা
কার কার হাত ঘুরে এসেছে। সেই সূত্র ধরে যেতে
হবে বেলুন যে ফুলিয়েছে তার কাছে।
তবেই জানা যেতে পারে বেলুনে কী রাখা আছে।
কিন্তু তাতেও নাকি দাঁড়িয়েছে বিপত্তি। জানা গেছে
কে বা কারা এসে সুতো কেটে দিয়েছে।
ঘুড়িটা এখন দিশাহীন ভাবে শূন্যে ভাসছে।