পৌঁছেছি ক্ষমতার শিখরে, এবার আর দেখে কে?
কিভাবে পৌঁছেছি, সেকথা বলবো কি আর?
এতকাল রেখেছি একেবারে ঢেকে।
মরার মাথার খুলি ও হাড় কঙ্কাল নিয়ে রাত জেগে
করেছি কি কম যাগযজ্ঞ জাদুকর হবার বাসনায়?
নেশায় মাতোয়ারা শ্মশানে চিতার সামনে বসে
বারবার মন্ত্রও জপেছি অমাবস্যার অন্ধকারে,
' লাগ ভেলকি লাগ'।
যাগযজ্ঞ করে ভূতেদের বাগে আনতে
কষ্টও কম করতে হলো কি?
শ্মশানের পোড়া কাঠগুলো সাক্ষী!
শেষে ভূতেরা সদয় হয়ে যখন পৌঁছে দিলো
ক্ষমতার শিখরে দেখে আঙ্গুরের মতো মাচায়
লোভনীয় কত কী ঝুলছে থোকায় থোকায়
অবিরাম লালা ঝরেছে লালসায়।
যেকথা বলার, এবার পেতে হবে ক্ষমতার স্বাদ,
বাদ যাবে কেন লোভনীয় খাবার?
সবই খেতে হবে চেটেপুটে
সেইসাথে চাই বটে বিলাস বহুল জীবন,
প্রাতঃ ভ্রমণের জন্য গড়তে হবে নন্দনকানন
সাত পুরুষের জন্য জমাতে হবে আরাধ্য ধন,
কে জানে, এ কাজে লাগবে কতক্ষণ?
সারাক্ষণ মাঠেঘাটে ও কোলিয়ারিতে খাটছে
যে সব হা-ভাতে লোকগুলো
যাদের বুকের পাঁজরগুলো বেরিয়ে এসেছে
যারা বাঁচার অধিকারের দাবিতে পথে মাথা কুটে,
রাতে অনাহারে অভুক্ত ক্ষুধার জ্বালা মেটাতে
ডগ ডগ করে জল গিলে পাশ ফিরে শুয়ে থাকে
একেবারে ধনুকের মতো বেঁকে
তাদের দুর্দশার কথা ভাবতে কী দায়?
তারা তুষের আগুনের মতো জ্বললে কী আসে যায়?