নড়বড়ে ঘর, যখনি এলো বৈশাখী ঝড়
ঘরের খুঁটিগুলো করলো এতোই মর মর
তারা নয় আর আত্মনির্ভর, সামর্থ্য নেই আর
আবার ঝড় এলে মাটি আগলে রাখতে পারে ধরে
সম্ভাবনা খুবই, মুখ থুবড়ে মাটিতে লুটতে পারে।
গৃহস্থরা ভাবছে যেন পাবেনা আর নিস্তার।
তারা শুরু করলো হৈচৈ, রক্ষাকর্তা কৈ?
সে তখন মাচায় বসে, কে জানে, মজেছে কিসে!
শোনালো সেখানে বসেই আশার বাণী
যখনি থামবে ঝড় শুরু হবে ঘর সারানোর ব্যস্ততা
মুহূর্তে চারদিকে ছড়ালো সেই বার্তা
তারপর ঝড় থামলেও সে কথা রাখেনি।
গৃহস্থরা এতকাল করলো কী?
কারো ওপর দায় সঁপে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে থাকলে
কত কী ঘটতে পারে এমনি!
এখন কারো বুঝতে বাকি
সে যা শুনিয়েছিল সে ছিল বৃথা আশ্বাস?
অসহায় মানুষগুলো যারা আশায় বুক বেঁধেছিল
তারা এখন আশাহত, ফেলছে দীর্ঘনিঃশ্বাস।
নড়বড়ে খুঁটিগুলোর যে যেভাবে ছিল সেভাবেই
তারাও ঠায় দাঁড়িয়ে ভয়ে কাঁপছে থরথর করে
কে জানে, আবার ঝড় এলে কী ঘটতে পারে?