জ্বলছে, শ্মশানে জ্বলবে চিতা
উদ্বেগে যে যতই ধরাশায়ী হোক
বলি একেবারে সোজাসাপটা কথা
চাও কি শ্মশানে চুল্লির দম বন্ধ হোক?
দেখতে হবে গোধূলি ঘনিয়ে এলে
সূর্য সন্ন্যাসীর বেশে দিগন্তে পা বাড়ালে
পলে পলে অন্ধকারের মোড়কে সর্বত্র ঢাকলে
অন্ধকারে যখন দেখা যাবে না কারো মুখ
তখন বাবুদের বাড়ির সুদৃশ্য ঝাড়বাতি নিভুক?
না না, সে হতে পারে না।
আর কোনও কথা হবে না
জ্বলছে, দাউ দাউ করে জ্বলুক চিতা।
অন্য কারো গায়ে আগুনের আঁচ তো লাগছে না
আর শবদেহের সহ্যের সীমা জানো না?
দেহে আগুনের আঁচ লাগলেও চিৎকার করবে না।
নাকে রুমাল চাপা দিয়ে আছো কেন?
বাতাসে ভাসছে পোড়া লাশের গন্ধ?
নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে খুব?
তা হয় হোক! সহ্যসীমা বাড়ছে বাড়ুক।
সইতে খুব কষ্ট হলে সেই দৃশ্য না দেখার ছলে
শ্মশানের শবদেহকে দৃষ্টির আড়ালে রেখে
নাকে রুমাল চাপা দিয়ে সেখান থেকে
মুখ ফিরিয়ে চলে গেলেই হলো।
মানবতা যখন মুখ থুবড়ে পড়ছে
চারিদিকে পরিস্থিতিও যেদিকে গড়াচ্ছে
সেই অভ্যাসটা রপ্ত করাই ভালো।