জানতে ইচ্ছা হয়
যারা বুক বাজিয়ে গড়া ফুলিয়ে চিৎকার করে
নন্দি-ভৃঙ্গির মতো সাবলীল ভাবে নৃত্য করে
উদ্বত্যে রক্ত-তরবারি ধরে আস্ফালন করো
নিজেদের প্রাণীজগতে শ্রেষ্ঠ জীবও দাবি করো
অথচ যাদের প্রেম ভালবাসা গ্রহণের কবলে
যারা এখনো বিচরণ করো হিংসার বলয়ে
মনুষ্যত্ববোধ হারা আজও যারা
হিংসার নিরিখে পশুদের চেয়েও বেপরোয়া
আজও যারা ভুলতে পারোনি আদিম পাশবিকতা
এখনো অনুভব করতে পারো না মানবিকতা
অনায়াসে কারো বুকে ছুরি বসাতে পারো,
অনুভব করো বেশ আছো সেটি বিসর্জন দিয়ে
নির্দ্বিধায় স্ব-জাতির বুকে শানিত অস্ত্র বসিয়ে
রক্ত-গঙ্গা বইয়ে দিতে করো না ইতস্তত
কেউ অত্যাচারের শিকার হয়ে ছটফট করলেও
মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারো একেবারে নির্লিপ্ত,
একবার আলোয় এসে মুখ খুলে বলবে
এখনো লালন করছো কি সেই অবাধ্য পশুদের?
যদি ওদের এখনো স্বচ্ছন্দে পুষে থাকো
মৃত্যু উপত্যকায় দিগন্তের দিকে তাকিয়ে দেখো
নিজেকে মনে হচ্ছে কি কারাগারে শৃঙ্খলিত
বন্য জন্তুদের চোখেও ঘৃণ্য হচ্ছে কি বোধগম্য
বলবে, এবার বুক করছে কি দুরুদুরু?
যদি সেটি অনুভূত হয় তবে এইতো সবেমাত্র শুরু
শুনতে পাচ্ছ মেঘ ডাকছে গুরুগুরু?
বিধাতার আদালত থেকে স্বচ্ছন্দে বেরিয়ে যাবে?
হয়তো সেটি হবে না, স্বীকারোক্তি দিতেই হবে
বলতে হবে কোথায় গড়েছ ওদের জন্য অভয়ারণ্য?
কেন ওদের দিচ্ছ এতো প্রাধান্য?