কাণ্ডারী! জানি, কাল নদীতে তরী বাইতে
তোমার খুব সাধ ছিল।
সাধ্য সাধনায় সেও বেশতো পূর্ণ হলো।
বিগত দশটি বছর এই নদী দিয়ে বহু
জল গড়ালো,
বুক চিতিয়ে ধরেছিলে যে নৌকার হাল
দাঁড় বাইতে তৎপর, এখন কী দাঁড়ালো?
দেখে এসেছে কাকাতুয়া তরী এখন বেসামাল
যদিও নদী এখনো হয়নি উত্তাল,
তবুও এদিক সেদিকে খাচ্ছে দোল।
চেষ্টা অনেক তো করলে উজানে বাইতে তরী
এখন কোথায় দাঁড়িয়ে? বন্দর আর কতদূর?
এই তরী এগিয়েছে কি আহামরি?
নাকি মাঝদরিয়ায় খাচ্ছে হাবুডুবু,
শত ছিদ্র দিয়ে অনর্গল ঢুকছে জল?
কাকাতুয়া উড়ে দেখে এসেছে
তরী ডোবার উপক্রম হলে এই তরীর
মূল্যবান বহু সামগ্রী ভাসিয়ে দিলে জলে
এখন নাকি এই তরীতে পণ্য শূন্য প্রায়,
যাত্রীরাও ভুগছে দিশা হীনতায়।
ভাটির টানে হেলে দুলে এমনি ভাসছে তরী
কোথায় গিয়ে পৌঁছাবে, কে জানে?
যাত্রীরা তাদের আরাধ্য দেবতার শরণাপন্ন
ভাবছে তারা, ডুববে কি তরী আসন্ন বানে?
কাণ্ডারী, এখন হালে পাচ্ছো নাকি পানি?
জানি, তোমার হাতের পেশি খুবই দুর্বল
হয়তো শরীরেও সইছে না আর ধকল।
শরীরের সমস্ত শক্তি নিংড়ে দাঁড় টেনে
স্রোতের প্রতিকূলে নাও বয়ে নেওয়ার
সামর্থ্যও নেই আর।
চেয়ে দেখো, হয়তো তরী এগিয়ে যাচ্ছে
যেদিকে স্রোতের টান বেশি।
ব্যর্থ হচ্ছো কি দাঁড় ধরতে কষি'?
হয়তো এখন সাঁড়াশি আক্রমণের শিকার,
তোমাকে ভাবতে হচ্ছে বন্দরে পৌঁছবে কি করে?
দুঃসময় হয়তো দুয়ারে ঠকঠক করে কড়া নাড়ে!
শিরে সংক্রান্তি, ভাবছো করি কী?
নিজের অক্ষমতায় তড়িঘড়ি চেষ্টা করছো কি
রক্ষাকর্তার উপর এই তরীর ভার সঁপে দিয়ে
চুপচাপ বসে থাকার খুঁজে পেতে নিস্তার?