কে জানে, চলছে কিনা ভীম একাদশী!
যে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না
এ বাড়ির এক যুগ কোনও রক্ষণাবেক্ষণ হলো না
ক্ষুধাতৃষ্ণায় কাটালো যেন নির্জলা উপবাসী।

বাড়ির কর্তামশাই কাটালেন গা ভাসিয়ে হাওয়ায়
ভাবখানা বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণে তার নেই কোনো দায়
নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ না হলে যা হয়
ভাগ্যের বিড়ম্বনায় বাড়িটা ছিল অযত্নে অবহেলায়।

এরপরও উপবাসী আর কি সুস্থির দাঁড়াতে পারে?
দেখেছি তার পা গুলো কাঁপছে যেন ঠক ঠক করে  
আর কতকাল দাঁড়াতে পারবে আছে বৈকি সংশয়
জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ারও আছে ভয়।

ভাবতে অবাক লাগে তার প্রতি হয়েছে কত অবহেলা
এখন বাইরের দেওয়াল জুড়ে ছোপ ছোপ শ্যাওলা
অবলার পলস্তারার পরে খসে পড়ছে ইট বালি,
এ বাড়িটাই হুড়মুড় করে ভাঙবে কিনা যায় না বলা।