এযাবৎ তাদের উপর নির্মম ভাবে করেছ অত্যাচার
বাদ দাওনি বুকের উপর চালিয়ে দিতে বুলডোজার
বাহুবলী, ছিল নাকি ভেবেচিন্তে কাজ করা দরকার?
ভাবতে হতো না দেশকে করবে আর কত ছারখার?

‘কী করা উচিত আর কী নয়’ সেটি ভাবোনি বোধ হয়
সুশিক্ষা ও জীবনের মূল্যবোধের অভাবে এমনি হয়!
দেখেছ অত্যাচারিত হয়েও তারা দেখালো সহিষ্ণুতা
তাদের নীতি নৈতিকতা বোধ নষ্ট হতে দেয়নি অযথা।

তাদের সহিষ্ণুতা দেখে ভেবেছ তারা অতিশয় দুর্বল?
পিঁপড়েদের মতো এদেরও পদতলে পিষবে অনর্গল?
হিসাব আছে অত্যাচারিত ক’জন দিয়েছে জীবন বলি?
তারপর আরো মানুষকে দিতে হবে জীবন জলাঞ্জলি?

বাইরে বইছে ঝড়, এখনো ঘরে বসে ভাবছ অনর্গল
দীর্ঘদিন তাদের পরাতে পারবে অত্যাচারের শৃঙ্খল?
ভাবোনি বোধ হয় মানুষের ধৈর্যের আছে সীমারেখা
বাহুবলী, সেটি বুঝে নিতে হয়, চোখে যায় না দেখা।

ভাবছ নাকি দীর্ঘদিন কুকর্মের পরেও পাবে নিস্তার?
ইতিহাস কি বলে?-কে, আজীবন পেয়েছে এই ছাড়?
দেখো, জনগণ রাজপথে তোমাকে জানাচ্ছে ধিক্কার,
সময় আসন্ন, নিজ ব্যর্থতার দায়ে দেবে না গুনাগার?