আকাশে হয়েছিল ঘন কালো মেঘের সঞ্চার
ঘরে বসেই শুনেছি মেঘের গুরুগম্ভীর ডাক,
ভয়ে বুকখানি করেছে দুরু দুরু
অচিরে শুরু হয়েছে যেন মত্ত ষাঁড়ের অত্যাচার।
জননীর কাঁখে সোনার কলসি
অদূরেই জলে টলটল করেছে সরসী
জননী লক্ষ্যে অবিচল
কলসি ভরে আনতে গিয়েছে সরসীর জল।
হঠাৎই ঘটেছে কী এক কাণ্ড!
কোত্থেকে সেদিকে ছুটে এসেছে এক মত্ত ষাঁড়
সে যেন জননীকে শিঙে বিদ্ধ করার লক্ষ্যে স্থির।
অধীর আগ্রহে থেকেছি কী ঘটে দেখার অপেক্ষায়।
দেখেছি উন্মত্ত ষাঁড় দেখে বাঁচার তাগিদে
জননী সরে পড়েছে কাঁখের কলসি নামিয়ে রেখে
তৃষ্ণাতুর কলসি চাতক পাখির মতো
আকাশের দিকে চেয়ে আছে জলের অপেক্ষায়।
বোধ হয় বাতাসে ছিল দুর্যোগের ইঙ্গিত
দেখেছি কতকগুলো বায়স উৎসুক হয়েছে গাইতে গীত
ওরা মরা এক আমড়া গাছ থেকে উড়ে এসে
ষাঁড়ের পিঠে বসে কা কা করেছে চিৎকার।
ষাঁড়টিও থাকেনি চুপ করে বসে,
কি জানি কী উদ্দেশ্যে
সেটি কলসিতে শিঙ দিয়ে মেরেছে গুঁতো।
তারপর? গুনতে হয়নি আর অপেক্ষার প্রহর
অচিরেই কানে ভেসে এসেছে রাগ মেঘমল্লার।