সভ্য মানুষ হয়ে জন্মেও হলো কি?
পিঁপড়েদের থেকে অনেক কিছু শিখতে বাকি।
শেখে ক'জন, 'মজে থাকতে নেই আত্মকেন্দ্রিকতায়
অবক্ষয় হতে পারে অতিরিক্ত লোভ লালসায়'।
মুখে সমাজতন্ত্রের বুলি আওড়ালেও কী?
অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে অনেকের শিখতে বাকি
যথার্থ সমাজতন্ত্র কাকে বলে?
আর তাতে জীবনে সুখ স্বচ্ছন্দ কতটা মেলে।
যদিও বনবন করে ঘুরছে ঘড়ির কাঁটা
অভিজ্ঞতায় শেখা হচ্ছে কতটা
'আত্মকেন্দ্রিকতায় সুখের ঘড়া পূর্ণ হয় না,
এ ব্যাপারে সঙ্ঘবদ্ধ জীবনের নেই তুলনা'।
দুঃখের বিষয় আজও অনেকের বিভ্রান্তি ঘুচলো না
ফুৎকারে উড়িয়ে দেয় সমাজতন্ত্রের ধ্যান ধারণা।
অনেকে ব্যস্ত ইঁদুর দৌড়ে আত্মসুখে থাকার ইচ্ছায়
ভাবখানা, পিছনে যারা তারা মরলে কি আসে যায়?
সুখের ঘড়া পূর্ণ করতে তারা নামে বটে
প্রতিযোগিতার দৌড়ে কত কি যে ঘটে
সুস্থ প্রতিযোগিতা বজায় থাকে কতক্ষণ?
অসৎ উপায় মাথাচাড়া দেয় যখন তখন
প্রতিযোগিতায় ছলাকলাও কম হয় নাকি?
নজরবন্দি করে ক'জন, প্রতিযোগীরা করে কী?
ক'জন চেষ্টা করে নিজ ক্ষমতায় এগিয়ে যাওয়ার?
অধিকাংশই চেষ্টা করে পিছন থেকে টেনে ধরার।
প্রতিযোগিতায় ক'জন নিয়মানুবর্তিতায় পরিপাটি?
অনেকের শিখতে বাকি সাফল্যের এই চাবিকাঠি।
উদাহরণ দিয়ে হবে কি?
দৈনন্দিন কতকিছু ঘটছে নাকি?
যতই সভ্য মানুষ বলে অনেকে করে বড়াই
বস্তুত বসে চক্ষু মুদে ফাঁকা কলসি বাজায়।
সভ্য মানুষদের মন্দ স্বভাব বলবো আর কত?
উদাহরণ দিলে বাড়বে ক্রমাগত ইলাস্টিকের মতো।
পিঁপড়েদের কাছ থেকে অনেক শেখার আছে
সভ্য মানুষ বলে গর্ব করা একেবারেই মিছে।