চলছে নর নারায়ন সেবার প্রস্তুতি। বিশাল
আয়োজন। হাজির হতে পারে কোটি কোটি
লোকজন। তবুও এই কাজে নেই কোথাও
খামতি।
আয়োজন সম্পূর্ণ। এতো বড় কাজে রান্নার
ডাক পেয়ে ঠাকুরমশাই নিজেকে ভেবেছেন
ধন্য।
তিনি তার সহকারী গদাইকে ডেকে বললেন,
‘গদাই, চলছে নর নারায়ণ সেবার বিশাল
আয়োজন।
সেখানে রান্নার কাজটা যখন হাতে পেয়েছি
চল যাই, কাজটা মিটিয়ে আসি’। এতো বড়
কাজের কথা শুনে গদাইয়ের মুখেও ফুটলো  
হাসি।
নরনারায়ন সেবার দিন পূর্বাকাশে সূর্য যখন
উঁকি দিয়েছে, বিলম্ব না করে তারা দু'জনেই
সেখানে পৌঁছে দায়ভার বুঝে নিয়েছে।
তারপর দেরি করবে কী? সেই সময় আছে?
ঠাকুরমশায়ের নির্দেশে গদাই লেগে পড়েছে
লাবরার জন্য সবজি কাটার কাজে।
খোশমেজাজে আলু, বেগুন, কুমড়ো,ফুলকপি,
পেঁপে, পটল, গাজর, বরবটি,পালং, ওলকপি,
টমেটো লাবড়ার যাবতীয় সব উপকরণ ধুয়ে
ও কাটাকাটি করেও থাকেনি বসে।
প্রয়োজনীয় সব মসলা তড়িঘড়ি পেষাই করে
মসলা সহ রান্নার সামগ্রীগুলো পৌঁছে দিয়েছে
ঠাকুর মশাইয়ের কাছে।
তার পরেও লেগে রয়েছে যখন যা নির্দেশ
আসে।
এবার ঠাকুরমশাই রান্নার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
মিটিয়ে গেলেন বিশ্রামে।
গদাইকে বলে গেলেন, ‘গদাই, এবার রান্নার
দিকে নজর রাখিস। সবজিগুলো সিদ্ধ হলেই
আমাকে খবর দিস।’
নির্দেশ পেয়ে গদাই লেগে পড়েছে সেই কাজে।
দেখলো সে আগুনটা উস্‌কে দিয়েও হলো কী!
দীর্ঘসময় পরেও পেঁপে ও ওলকপি যে দরকচা
মেরে দাঁত খিঁচিয়ে আছে।
ভাবলো তখন লাবরার কী জানি কী হয়! এখন ঠাকুরমশাইকে সেকথা না-জানালেই নয়।
খবরটা ঠাকুরমশাইয়ের কানে পৌঁছলে বললেন ঠাকুরমশাই, গদাই, ’তবে এখন আর অপেক্ষা
কেন? চল যাই, সবজিগুলো ঘেঁটে ঘ করে দিয়ে
আসি।
দেখবো, এরপর কী দাঁড়ায়’।