তিলোত্তমা, শাড়ির আঁচলে মুখ ঢেকে ফুঁপিয়ে
কাঁদছো তুমি? অজস্রবার লাঞ্ছিত হয়ে প্রশ্ন
করেছ, ‘যথাযথ স্থানে সুবিচার চেয়েও কেন
আজও সেটি হয়েছে ব্যাহত? অপেক্ষার প্রহর
গুনবে আর কত?’
এই প্রশ্নটি সঙ্গত। সমাজে সংঘটিত অগণিত অপরাধগুলোর ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার বাদুড়ের
মতো ঝুলে থাকবে আর কত?
অনেকে মর্মাহত! এক বা দু’টি নয়, অগণিত
সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে এই ধারা রয়েছে
অব্যাহত।
দুষ্কতিকারীরা তথ্যাদি লোপাট করে ঘটালো
এ কী কাণ্ড! পাষন্ডগুলো সব তথ্যগুলোকে
সুরক্ষিত রাখলে এমনকি খড়ের গাদায় সূচ
লুকানোর মতো লুকিয়ে রাখলেও হতো কিন্তু
করেছে নাকি একেবারে তথ্য লোপাট।
সিবিআই কে তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়েও
হতে হয়েছে নাকি লেজে গোবরে।
সরকারি কর্মচারীদের অভিযুক্ত সাব্যস্ত করে
তাদেরকে দেশের আইনে বিচারের আওতায়
আনতেও সিবিআই এর অনর্গল ঘাম ঝরতে
পারে।
সেটিং-এর তথ্য, যদিও এই বিষয়ে সংশয়
থাকতে পারে, তবে সেও নাকি ঘুড়ির মতো
বন বন করে হাওয়ায় ওড়ে।
সিবিআই তথ্য অনুসন্ধানের কাজ চালিয়েও
তথ্য উদ্ধার করতে হয়েছে নাকি ব্যর্থ। হায়রে,
কত কি যে ঘটে এই বিশ্ব সংসারে।
এখন তাদের হাতে তথ্যভাণ্ডার? - ‘ভাঁড়ে মা
ভবানী’।
তিলোত্তমা, ফুঁপিয়ে কাঁদছো বটে, তবে তুমি
অশ্রু ঝরাবে আর কত?
দেখছ জনগণের অনেকেরই প্রশ্ন, ‘কিভাবে
বের করা যাবে এর সমাধান সূত্র?’