চেষ্টা তো খুব কম ছিল না।
দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে থেকে কলিং বেল
বাজালেও ভেতর থেকে সাড়া মেলেনি।
দরজার কড়া ধরে নাড়ানাড়ি, ধাক্কাধাক্কি
করলেও, না।
এমনকি হাতুড়ি,শাবল, গাঁইতি দিয়ে দরজা
ভাঙ্গার চেষ্টা করেও হলো না,
যারা যখন খুলতে গেছে এ ঘটনার মুখোমুখি,
সাক্ষী ধ্রুবতারা, তারা হয়েছে গোহারা।
সাধারণ জনগণের অন্তরাত্মা ঘুমিয়ে থাকায়
দুর্বৃত্তরা গড়তে পেরেছে এমনি প্রতিবন্ধকতা।
সে আর হবে নাইবা কেন?
দেশের আজ এই দুর্দশা হতো না, যদি জনগণ
দুর্বৃত্তদের প্রশ্রয় দেওয়া থেকে বিরত থাকতো
এবং তাদের পরিহার করে চলতো।
সে আর হলো কৈ।
লোভাতুর দৃষ্টি নিয়ে দুর্বৃত্তদের দিকে ক্ষুধার্ত
সারমেয়দের মতো তাকিয়ে থেকেছে অনেকে,
মিছিলে দুর্বৃত্তদের হাত ধরেছে, তারা একসাথে
পায়ে পা মিলিয়েছে।
কাকাতুয়া দেখে এসেছে এই লোকগুলো
দুর্বৃত্তদের প্রতিবন্ধকতার দুর্ভেদ্য প্রাচীর গড়তেও
তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে।
ফলত, যত সময় গড়িয়েছে দেশ লক্ষ যোজন
পিছিয়েছে।
দুর্বৃত্ত মুক্ত স্বাধীন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন
দেখেছিল যারা, তারা হয়েছে গোহারা।