মানুষ কত কী করছে নেশার কবলে পড়ে!
কাণ্ডারি, ভাসালে তরী উন্নয়নের জোয়ারে
তরী বাইতে গিয়ে মানোনি বাধা
চোখে লাগেনি কি মোটেও ধাঁধা?
হায়রে, এখন বাধালে এ তরী কোন চড়ে?
‘করতে গিয়ে প্রকৃতির উপর প্রভুত্ব বিস্তার
কী করেছো? সময় হয়েছে ফিরে দেখার
বিশ্বে উন্নয়নের জনজোয়ারে ভাসি’
প্রকৃতিকে উৎপীড়িত করেছ কষি’
মোটেও বাঁধন মানোনি প্রকৃতির স্নেহলতার।
বেশ মেতেছিলে বিশ্বজুড়ে উন্নয়নের নেশায়?
ভেবেছিলে প্রকৃতিকে মুঠোতে ধরে রাখা যায়
তার উপর করেছ ও স্বেচ্ছাচার
বোঝাতে এ তোমার অধিকার?
ভেবেছ প্রকৃতি নিধনে কী আর আসে যায়?
বজ্র মুষ্টিতে প্রকৃতিকে করলে যখন ছারখার
একটু ঠাইও পেয়েছে কি তোমার মানবতার?
মেতে উঠেছ এ কোন নেশায়?
ভেবেছ যেমন খুশি করা যায়?
ললনা বিশ্বপ্রকৃতিকে ও মোটেও দাওনি ছাড়।
‘সমগ্র বিশ্বে উন্নয়নের জনজোয়ারে ভাসি
এযাবৎ কম করেছ কি হিসাব না কষি?’
সাড়াশি আক্রমণও প্রকৃতির উপর
মোটেও রাখনি তার দুর্দশার খবর
সবুজ বনানীও নিধন করেছ রাশি রাশি।
আগে নির্লিপ্ত ছিলে দেখেও মুকুটহারা শৈলচূড়া,
সুদীর্ঘকাল বজায় রেখেছিলে তোমার এই ধারা
বিশ্ব এখন পড়েছে উষ্ণায়নের কবলে
সমগ্র জীবজগৎ মৃত্যুমুখে পড়ছে ঢলে
সমাধান সূত্র না-পেয়ে এখন হয়েছ গোহারা?
মদমত্ত, আগে বোঝোনি নিজে কত অর্বাচীন
উন্নয়নের ধারা দেখে নেচেছ তাক ধিনা ধিন
মন গলেনি দেখেও প্রকৃতির চাহনি
এখন খালবিল জলাশয়ে নাই পাণি
কাণ্ডারি, এখন মুখ বুজে করছো কী মিনমিন?
হা-করে গোগ্রাসে গিলতে আসছে মরুভূমি
কে জানে, গ্রাস করবেই কি সমগ্র ধরণী?
জানি না, বিধাতার একী আয়োজন!
বিশ্ব থেকে হারাবে কি প্রাণ-স্পন্দন?
এখন কাণ্ডারি কী দিশা দেখাবে, কী জানি!