বানর ও নেকড়ে উভয়েই শঠ। বনের
ভেতর বেড়েছে ওদের ঔদ্ধত্য। ওরা
দু’জনে ইতিমধ্যে জেনেছে কে, কোন
কুকর্মের সাথে যুক্ত।
সারাদিন ওরা মুখোশ পড়ে থাকলেও
কি হবে, ওদের কুকর্মগুলো এমনি যে
প্রকাশ্যে এলে মুখোশের আড়ালে মুখ
ঢেকে রাখাও শক্ত।
সকল সময় ওদের মনে ভয় যদি সেই
কুকর্মগুলো জানাজানি হয়। ভেবেছে
দু’জনে এই অবস্থায় রফাসূত্র বের না
করলেই নয়।
করেছে ওরা অলিখিত সমঝোতা চুক্তি
কেউ কারো বিরুদ্ধে আনবে না কোনো
অভিযোগ, হলেও ওদের মধ্যে ব্যাপক
মতবিরোধ।
ইদানীং কে কাকে নাকি চিমটি কেটেছে,
সেই নিয়ে বিরোধ বাঁধলে কে আর মনে
রেখেছে সেকথা।
দু’দণ্ড যেতে না- যেতেই দু’জনেই একে
অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে
গুরুতর অভিযোগ।
উভয়ের তালিকাই সুদীর্ঘ। কারোর দশ,
কারোর তেরো দফা। ওদের কোনটাই
ফাঁপা বেলুনের মত নয়, বরং সবগুলো
গুরুতর।
সমস্ত অভিযোগ প্রকাশ্যে আশায় এখন
ওদের মুখ লুকানো দায়। ভাবতে হচ্ছে
বিরোধের মীমাংসা দূরে থাক, কিভাবে
মুখ লুকনো যায়।
যারা এই বিষয়ে সম্পূর্ণ অবগত, তারা
ভাবছে বস্তুত দফা দশটি নয়, তেরোও
নয়, সর্বমোট তেইশ দফা অভিযোগের
মীমাংসা করা দরকার।
এখন দেখা যাক কোন দিকে গড়ায়।