সে তো শিয়রে ওঠার মতো ঘটনা। বাতাসে
কান পাতলে শুনি চারদিকে সে নিয়ে চলছে
ব্যাপক আলোচনা।
দিবসে কর্মব্যস্ততার পরে রাতে কে, কতটা
আর জাগতে পারে? ক্লান্ত শরীর। শাখামৃগ
ঘুমিয়ে পড়েছিল অরণ্যের একধারে।
ধারে কাছে হায়েনার বাস। রাতে খাবারের
খোঁজে বেড়িয়ে পড়া হায়নাদের রীতিমতো
অভ্যাস।
তখনো হয়নি ভোর। হরিণী স্বপ্নে বিভোর।
তার শরীরের গন্ধ পেয়ে হায়েনারা পৌঁছে
গেছে তারই চারিধারে। এই হরিণী বুঝবে
কী করে সংকট তার শিয়রে?
হায়রে, সংকট ঘনীভূত হলে কত কি হতে
পারে! হায়েনা গুলো তাকে একা পেয়েই
তাকে টেনে হিঁছড়ে নিয়ে গিয়েছে গভীর
অরণ্যে, অন্ধকারের গহ্বরে।
সেখানে বসে উল্লাসে তাকে ছিঁড়ে খেতে
দ্বিধা করেনি মুদ্রাদোষে।
না, প্রতিবাদ করেও সে নিজেকে বাঁচাতে
পারেনি। তার দুর্ভাগ্য এমনি মুখ ফিরিয়ে
নিতে বাধ্য হয়েছে দুর্গতিনাশিনী।
দেখেছে হরিণী কতকগুলো কালো হাত
তাকে ধরেছে ঘিরে। তারপরে অবর্ণনীয়
ঘটনা। হিংস্র বর্বরগুলো উল্লাসেই তাকে
খেয়েছে ছিঁড়ে।
কে জানে, মৃত্যুর আগে ওদের সাথে সেই
হরিণীকে পাঞ্জা লড়তে হয়েছে কতখানি!