এই তো সেদিন বলেছিল কাকাতুয়া,
‘কোনও এক দেশে ঘটছে যা
যাচাই করে দেখতে পারো এর সত্যতা
সে দেশে নির্বাচন তো নয়, চলছে আজব কাণ্ড
শুরু হতেই নির্বাচনের নির্ঘণ্ট।
প্রতিদিন সূর্যোদয় হতে ভোটারদের অনেকে
বসে নেই দু’দণ্ড।
সোজা-সাপটা কথা দেশকে স্বর্গ রাজ্য গড়তে
চলেছে তাদের ব্যস্ততা।
তারা ভেবেছে সেই স্বর্গ রাজ্য পরিচালনা
করবে ময়ূর ময়ূরী, কদর জুটবে ভারী!
তন্নতন্ন করে অন্যরা খুঁজেও পাবে না তাদের
বিকল্প কোনও জুড়ি
তাই তারা নেমে পড়েছে খুঁজতে ময়ূর ময়ূরী,
না-পেলে অগত্যা মোরগ ধরে আনতে।
বনমোরগ হলেও চলবে
ঝুঁটি থাকলে ঢেকে দেবে,
চলবে, নিয়ত খাই খাই ভাব থাকলেও স্বভাবে’।
লোকগুলোর নাকি ব্যস্ততাও ছিল খুব
যদিও বিজ্ঞজনেরা করেছে বিদ্রূপ,
মোরগদের শরীরে ময়ূরের পালক গুঁজে দিতে
যাতে পক্ষীগুলো পারে ভোটারের মন মজাতে
ভোটের বাজারেও যাতে বাড়ে ওদের কদর,
নিজেরাই বাড়াতে পারে ওদের বাজার দর।
পক্ষীগুলো ময়ূর সাজতেও করেনি ইতস্তত,
চেষ্টা করেছে ময়ূরের কণ্ঠস্বর ও করতে রপ্ত।
বলছে কাকাতুয়া, এখন নাকি মিটেছে নির্বাচন
ফলও বেরিয়েছে,
জয়ী বনমোরগ গুলোর অনেকেই এখন ব্যস্ত
বড় হাটে বিকতে
লেজ নাড়াতে নাড়াতে দেখতে চাইছে
কতটা ওঠে ওদের বাজার দর।