গাজনের মেলা। স্মৃতি উস্কে দিচ্ছে অবেলায়।
মনে পড়ে, এই তো সেদিনের একটি স্মরণীয়
ঘটনা।
মামার সাথে মেলায় গিয়ে তার কাছে গ্যাসবেলুন
কিনে দিতে ধরেছিলে শিশুসুলভ বাহানা, যা এই
বয়সে মোটেও মানায় না।'
সেকথা বুঝিয়ে বললেও যখন হলো না, মাটিতে
বসে পড়ে শিশুসুলভ ভঙ্গিতে শুরু করলে হাত পা
ছোড়াছুড়ি। এখানে শেষ নয় মামার উপর দেখালে
সাধ্য মতো গা-জোয়ারি।
জানতে বৈকি, আবদার করার সেটি উৎকৃষ্ট স্থান।
বাতাসে কান পাতলেই একথা শুনি। কে জানে,
কোথাও লেখা আছে কি এই বিধান?
শেষ অবধি আবদার না মিটিয়ে থামলে না। মামা
দোকানীর কাছ থেকে কিনে আনলো গ্যাস বেলুন
একখানা।
সেই যে বন্ধবান্ধবদের সাথে বেলুন নিয়ে শুরু
করলে খেলা, হৈ-হুল্লোড় করে সকলের কানেও
ধরালে ঝালাপালা।
সূর্যদেব কী বুঝলো, কে জানে! ভাবলো কি এই
খেলা সহজে থামার নয়? বোধ হয়, এই খেলার
অবসান চেয়ে সে আর দেরি না করে পা বাড়ালো
দিগন্তের দিকে।
তারপর যা ঘটলো, সে তো রহস্যাবৃত। সকাল
হতেই দেখছ বোধ হয় পরেছ সূর্যদেবের রোষে।
ঘরের বাইরে বইছে ল্যু। বাড়ির পোষা বিড়ালটা
বাইরে বেরোতে গিয়েই এই আবহাওয়া দেখে
কে জানে, ভয় পেল কী? সেটি এখন ঘরের এক
কোণে বসে ডাকছে মিউ মিউ।
এখন বেলুনটি নেই আগের মত ফোলা। দেখছো
নিশ্চয় বেলুনের গ্যাস বেরিয়ে সেটি একেবারেই
চুপসে গেছে?
গতকাল ঘরে ফেরার সময় বন্ধুদের বললে যখন,
এখন থেকে খেলা হবে প্রতিদিন, বোধ হয় তখন
বোঝোনি বাস্তবতা।
হয়তো ভেবেছিলে বেলুনের গ্যাস বেরিয়ে সেটি
চুপসে যাবে না কোনদিন। এখন সেকথা বুঝেও
খুঁজে পাচ্ছ না কি বেলুনে গ্যাস ভরবার উপায়?
ভাবছো, তবে কি খেলা এখানেই শেষ? তাই কি
করছো মিনমিন?