ব্যস্ত জীবন, পথে না বেরোলে নয়
প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় বেরোতেই হয়
সেসময় কী যেন বুকে কাঁটা হয়ে বিঁধে?
পথের দিকে তাকালেই কষ্ট হয়।
বোধ হয় দীর্ঘদিন তার প্রতি উপেক্ষার পরিণতি
তখন মোটেই বুঝিনি তার মতিগতি
সে এখন বঞ্চনা সহ্য করতে না পেরে
ব্যস্ত হয়ে উঠেছে বোঝাতে তার দুর্গতি।
যেদিকে তাকাই নজরে আসে
সে বুক উন্মুক্ত করে চিত হয়ে শুয়ে আছে
বুকে লিখে তার দাবি সনদ,
বোধ হয় সেটা নজরে এলে বুকে কাঁটা হয়ে বিঁধছে।
সে পারতো পাশ ফিরে শুয়ে থাকতে
তখন দাবিগুলো নজরে আসতো না কোনমতে।
সে আর হলো কই?
কেন যে ব্যস্ত হয়েছে আমার নজর কাড়তে!
পরিস্থিতি এতো ভয়াবহ যাই কি করে নজর এড়িয়ে?
রাতে শান্তি ও নেই সুখ শয্যায় শুয়ে
মনে হয় প্রতিবাদের ঢেউ বুকে আছড়ে পড়ে
আমার বাণিজ্যের সপ্ত তরী দিচ্ছে ডুবিয়ে।
যাই হোক, সে ভেবেছে নাকি দাবিগুলো এভাবে নজরে এনে বাতাসে প্রতিবাদের ঢেউ তুললে সেগুলো মেনে না-নিয়ে চুপ থাকার উপায় আছে?
প্রতিবাদের ঢেউ একটু কমে আসছে।
এখন যথার্থ সময়। এবার সেসব দেবো মুছে।
বোধ হয় পারিষদেরা এখন বসে আছে।
চুপ করে না থেকে তাদের ডেকে বলি,
‘ওরে, দীর্ঘক্ষন তোরা কে কোথায় ছিলি?
এ সময় তোদের বসে থাকলে হয়?
কোমর বেঁধে লেগে পর,
মুছে দে পথের যেখানে যা দাবি লেখা আছে।’