আবারও চলছে গণহত্যা?
বিশ্বজুড়ে আগেও গণহত্যা কম হলো কি?
কালো বিড়াল ম্যাও ম্যাও করে বলে গেল নাকি
হৃৎপিণ্ডে যতই চলতে থাকুক লাব ডাব
আজও নাইবা জানা গেল ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসাব,
সব না-হোক, নদীবক্ষে বয়ে গেছে যে রক্তস্রোত
তাকে প্রতিহত করার ছিল কার হিম্মত?
ক্ষয় ক্ষতি যতদূর জানা যায়
রক্তে লেখা আছে ইতিহাসের পাতায়।
সেসব জানলে মনে উদ্ভব হতে পারে দগদগে ঘা,
আকাশের চাঁদের চাহনিও হতে পারে বাঁকা
প্রশ্ন দেখা দিতে পারে মানুষ হারিয়েছে কি দৃষ্টিশক্তি?
উলঙ্গ নৃত্য ও শুরু করতে পারে আধুলি সিকি!
তবে মানুষের হারালো মনুষ্যত্ব বোধ?
কোথায় তাদের মানবিকতা?
বলবো কি সেই সোজাসাপটা কথা?
প্রশ্ন, আগে কি সেসব বজায় ছিল
আর এখন ফুড়ুৎ করে কর্পূরের মতো উবে গেল?
প্রশ্ন জোরালো, আগে মনুষ্যত্ব বোধ ছিল কতটা?
যদি এই বোধশক্তি প্রহরীর মতো জাগ্রত থাকতো
এমন কী তুষের আগুনের মতো জ্বলতো ধিকিধিকি
বিশ্বের যত্রতত্র অজস্র বার ঘটেছে যখন গণহত্যা
নিশ্চিত বাতাসে আলোড়িত হতো প্রতিবাদের বার্তা
দাউদাউ করে জ্বলে ওঠার সম্ভাবনা থাকতো বৈকি।
সেই সম্ভাবনা যদি থাকতো
আজও উদ্যত বানরের উৎপাতের মতো
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা বজায় থাকতো কি?
একেবারে সোজাসাপটা কথা
বজায় থাকতে পারতো কি গণহত্যার ধারাবাহিকতা?
একথা জানতেও ইচ্ছা করে
মানবাধিকার সংঘটনগুলি করেছে কি বিশ্বজুড়ে?
আজও যত্রতত্র ঘটছে যখন হিংসাশ্রয়ী দাঙ্গা
গণহত্যায় বইছে রক্তগঙ্গা
বলতে ইচ্ছা করে, ‘মানুষ, মানুষ হলো কৈ?’