দেখেছি কোনও খামতি ছিল নাতো আয়োজনে
জোটাতে জ্ঞানী গুণী শিল্পীসহ নানাবিধ বাদ্যযন্ত্র
আলোর বর্ণ ছটা দিয়ে তো সাজালে জলসাঘর
তবে কি এর পিছনে গুপ্ত রহস্য কোনও ষড়যন্ত্র?

নয় তো জমাট আসরে কেন হলো এ ছন্দপতন?
অনেকের মনে প্রাণে বিশ্বাস ছিল জমবে জলসা
আনন্দ উপভোগের সকল ব্যবস্থা থাকবে খাসা।
তাদের বড়ো আক্ষেপ বৃথা হলো এই আয়োজন।

উপস্থিত সকলে ভেবেছিল মগ্ন থাকবে কলতানে
অল্প একটু সময় গড়াতেই কি হলো, কে জানে!
শুরু হতেই কান পেতেও শুনতে পাইনি কলতান
বলতে দ্বিধা কি এ গানে ভরেনি তাদের মনপ্রাণ।

দুঃখজনক হলেও সত্য খুবই অসহ্য লাগছে কানে
সুরের মেলবন্ধনের অভাবেই হয়ে ওঠেনি কলতান
শিল্পীরা, সুরে গলা না মেলালে গাওয়া যায় গান?
শেষ অবধি এই ধারা বজায় থাকবে কি, কে জানে?

ভেবেছি আশা ভঙ্গের ইতিহাস বলে আর কি হবে?
ফল্গু নদী ও হয়তো আক্ষেপে নিজের বুক বাজাবে,
কে জানে, গঙ্গা পদ্মায় আরও কত ধারা বয়ে যাবে
এই আক্ষেপ মেটাতে কে, কী আর করতে পারবে?