সামনে কে দাঁড়িয়ে আছো?
সারা শরীরে কলঙ্কের দাগ।
কি বললে? সমাজ!
না না, এ কথা শুনে অবাক হইনি মোটেই
পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে সে তো হতেই পারে।
অবক্ষয় চারদিক থেকে হায়নার মতো
তোমাকে ঘিরে ধরেছে, ক্রমাগত বাড়ছে দুর্নীতি
মাথা তুলে আছে পাহাড় প্রমাণ কলঙ্ক,
তোমার এই অবস্থা হলে
তাতে অবাক হওয়ার কী আছে?
শুধু ভাবি, সত্যকে আঁকড়ে ধরে আছে যারা
তাদের ক্রমাগত বাড়ছে দুর্গতি।
পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তুমি কলঙ্কের ভারে নুব্জ,
কে জানে, ভার বইতে পারবে আর কত?
সমাজ, এখন তোমার শরীরের কোথাও বাদ নেই,
সারা শরীরে লেগেছে কলঙ্কের দাগ
মুখখানা এতোই কালো, তোমাকে চেনাও দুষ্কর।
আজব কাণ্ড, এতো কলঙ্ক সর্বত্র ছড়িয়ে
পড়ার পরেও থামার কোনও লক্ষণ নেই।
বলছে কাকাতুয়া, সে আর থামবে কি করে?
যদিও সিবিআই এর মতো দক্ষ গোয়েন্দারা
অপরাধের সত্য উদঘাটনে তথ্য সংগ্রহে ব্যস্ত,
হন্যে হয়ে চারদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে নিয়ত,
একটি জনগোষ্ঠী তো অপরাধীদের দোসর
তারা তথ্য লোপাট করতে অতিশয় তৎপর।
এই পরিস্থিতিতে, কে জানে,
গোয়েন্দারা খুঁজে বের করতে পারবে কত?
বাতাসে কান পাতলে শোনা যায়
চারিদিকে ঘটেছে বহু জঘন্য অপরাধ
তালিকা সুদীর্ঘ, তালিকা থেকে বাদ যায়নি
খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য কোন কিছুই,
ভূইফোড়ের মতো উঠে আসছে আরো কত।
এ কথাও শোনা যায় সমাজের বহু শিরোমণির
মুখে লেগেছে অজস্র কলঙ্কের দাগ।
কে জানে, তার সত্যতা কতটা!
সে তদন্ত সাপেক্ষ ও আদালতের বিচার্য বিষয়।
তবে এই বিষয়ে কবে ও কী উদ্ঘাটিত হবে,
কে জানে, সত্য উদঘাটনে বিচারের দীর্ঘসূত্রীতায়।
টিকটিকি, তোমার তথ্যভান্ডার নাকি খুবই সমৃদ্ধ,
বৃদ্ধ বটবৃক্ষের মতো বিশাল তথ্য ভাণ্ডার
আজও বয়ে বেড়াচ্ছো।
বাতাসে কান পাতলে এ কী শুনি
অনেকেই মুখ খুলতেও ভয় পায়
তারা জানে না কাটা খালের কোন দিকে ঢাল
আর জল কোন দিকে গড়ায়,
তাই সেসব নিয়ে চলছে কানাকানি।
টিকটিকি, তুমি নাকি যা বলো সবই সত্য,
এসব শুনে তুমি টিক টিক করে কী বললে?
বলবে, কিসের বার্তা দিলে!