ময়রা, এই কথা তোমার তো আছে জানা,
সাত মন কাঠ পুড়িয়ে দুধ ফোটালেই ক্ষীর
জমলেও কী? বিনা অ্যাসিডে কখনো ভেসে
ওঠে না ছানা।
বুঝলে যখন ছানাই চাই, ক্ষীর হলেও কাজ
মিটবে না, তড়িঘড়ি মিশিয়ে দিয়ে লেবুর
রস, তুললে ছানা।
ওই দেখো না, ভোটের ডুগডুগি বেজেছে
যখনি, কে যেন ভোটের ময়দানে নেমেই
ছুটছে একাকী তড়িঘড়ি।
ভোটারদের ভোটাধিকারের গল্প শোনাতে
রেখেছে বাকি? সেসব শুনিয়েও থামেনি,
বসেও থাকেনি। ভোটের আঁচ বাড়ালো
উৎসাহে।
মন্দ বরাত, ভোটাররা তার সপক্ষে ভোট
দিতে দৌঁড়োচ্ছে কোথায়?
হায় রে, সে পড়েছে সমস্যায়! ইঁদুরদের
নিয়ে হ্যামলিনের রাজার মতো দুর্দশায়।
ভোটের এ ময়দানে ঠায় বসে বা দাঁড়িয়ে
পড়বে কি? ভোট কুড়তে হবে নাকি?
ভাবলো সে, প্রলোভনে পাকা ফলের মতো
টপাটপ ভোট পড়বেই ঝরে আর উল্লাসে
সে কুড়বে।
তবে, আকাশে মেঘ ডাকলো। ঝড়ও শুরু
হলো। ঝড়ে গাছ থেকে পড়ে কয়েকটা বক
মরলো বটে, মিটেনি তার মনের বাসনা।
দেখলো সে কান্ড খানা।লোকগুলোকে
লাঠি-সরকির গুঁতো দিলেও কী? তারা
তার পক্ষে ভোট দিতেও মোটেও সায়
দিলো না।
তবে করবে কী? দৌড় থামাবে? মন তো
মানে না। ভাবছে সে, হ্যামলিনের বিখ্যাত
বাঁশি-ওয়ালার মতো বাঁশি বাজালে কেউই
থাকতে পারবে বসে?
‘ধর্মের বাঁশি!’ বাজালে তাদের লাগবে বেশ
সুড়সুড়ি? তারা তক্ষুনি লাফিয়ে উঠে ভোটের
ময়দানে তার পিছে পিছে দৌড় শুরু করবে
নাকি তড়িঘড়ি?
ও হরি, সে বাঁশি বাজালো বটে। দৌড় শুরু
হলো কৈ?
বলছে সে, সবুর করো, দু’দিন পরে বুঝবে
সেটি কতটা হয়েছে কার্যকরী।