বললেন বৃদ্ধ দেখেছি সুদীর্ঘকাল
খরগোশের মতো দাঁতে কাটনি তো ঘাস
রোজ সকাল থেকে ভঙ্গ করতে জনগণের বিশ্বাস
এভাবে কাটিয়ে দিলে বারো বছর কাল।
বোধ হয় মজেছিলে অতিশয় লোভ লালসায়
ভেবেছ সমাজকে ছিঁড়ে চিবিয়ে খেলে কী আসে যায়
প্রতিবাদী কোথায়? হয়তো সেই ভাবনায় ছিলে মত্ত
চেষ্টাও করোনি নিজেকে করতে সংযত
বরং নখদন্ত বের করে উর্ধ্বশ্বাসে ছুটে এসে
সমাজের গলা টিপে ধরেছো অনায়াসে।
এই অবস্থায় দুর্দশাগ্রস্ত সমাজ থাকতে পারে বসে?
সে যখন প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে
রাজপথে নামতেও বাধ্য হয়েছে
যখন দেখেছো ঢং ঢং করে বিপদ ঘন্টি বেজেছে
তখনি সর্বনাশের সব দাগ মুছে
সামনে ত্রিশূল ও কমণ্ডলু রেখে
বসে পড়েছ গেরুয়া পোশাক পরে সন্ন্যাসী সেজে।
ভাবো, যতই সন্ন্যাসী সেজে থাকো-না বসে
এই সুদীর্ঘ সময় করেছ সমাজের কত সর্বনাশ
বিশ্বাসভঙ্গকারী একথায় ক্ষোভে টগবগ করে ফুটছ?
তাই কি প্রতিবাদে গর্জে উঠেছ আক্রোশে?
জেনে রাখো, যতই গর্জে ওঠো সত্য যাবে না চুপসে
এখন তোমার বিপদ ঘন্টি বাজছে আরো জোরে
বিপদ হয়তো ঘনিয়ে আসছে শিয়রে
ভাবতে পারো করবে কী একটুও না চুপ করে বসে।