দেশে বেড়েছে নাকি ভূতের খুবই উৎপাত?
চালা ঘরে বসে ভাবছো এ কী ছিল বরাত?
রাতবিরেতে প্রায়শ ঘটাচ্ছে অঘটন?
সকল মানুষকে ভয়ে কাটাতে হচ্ছে রাত?
দাবি উঠছে ভুত তাড়ানো খুবই প্রয়োজন?
এযাবৎ কেউ আমাকে জানায়নি আমন্ত্রণ
জীবন সঁপেছি যখন ভূত তাড়াবো বলে
এ খবর পেয়ে ভূত তাড়াতে এসেছি এখন।
সেদিন আমায় দেখে মেছো ভূত, কানাভুলো,
মামদো ভূত, নিশি ভূত সবই ভয়ে পালালো।
স্কন্দ কাটা ভূত, শাঁকচুন্নি, ব্রহ্মদৈত্য
আর এমুখো হবেনা বলে ক্ষমাও চেয়ে নিলো।
গেছো ভূত, পেঁচাপেঁচি সে যাই হোক না কেন
এসেছি যখন তারও স্বস্তি মিলবে না কখনো।
তাকে তাড়াবো সাত সমুদ্রের ও-পাড়ে
ভুলেও কখনো এ মুখো ফিরতে চায় না যেন।
দিতে পারো?- লাগবে শুধুই এক মুঠো সর্ষে,
দেখবে চেয়ে, কিভাবে ছড়ির বারি দি’ কষে,
‘এবার ক্ষমা করো’ বলে করবে চিৎকার
বলবো, তুই এখানে এসেছিস কোন সাহসে?
ভূত সেসময় পালানোর পথ খুঁজেও পাবে না।
বলবো তাকে, ‘বল, আর এ মুখো হবি কিনা?’
যোগান দাও দেখি সর্ষে, এক মুঠো।
যেমন চেয়েছি দিলে বটে, এ হওয়ার ছিল না।
দেখছি আজব কাণ্ড, দেশের অবস্থা এই নাকি?
ভূতদের এখানে থাকার পাকা বন্দোবস্ত করেছ কি?
ব্যাপারটা ঠেকছে অদ্ভুত, সরষে তো ভূত?
তবে যতো বড়োই ওঝা হোক, সেও করবে কী?